বারাসত থানা এলাকার কামদুনিতে কলেজ-ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই ব্যাপারে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই ঘটনার তদন্তে কতটা কী অগ্রগতি হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে হলফনামায় তা জানাতে হবে সরকারকে। বুধবার এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
গত শুক্রবার বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে পরপর ধর্ষণ করে খুন করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেন। মামলার আবেদনে বলা হয়, কামদুনি-সহ গোটা বারাসত এলাকায় আইনের শাসন নেই। বারবার নারী-নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু অপরাধীরা রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থাকায় পুলিশ কিছুই করছে না। বছর দুয়েক আগে দিদির সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব দাসের প্রাণ হারানো থেকে শুরু করে বারাসতে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করা হয় আবেদনে। এই পরিস্থিতিতে কলেজ-ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ দল গড়ে দেওয়ার আবেদন জানান ওই আইনজীবী। সেই সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জিও জানানো হয় জনস্বার্থের মামলায়। এ দিন শুনানির সময় আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কামদুনি গ্রামে যে-ঘটনা ঘটেছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। ধৃতদের মধ্যে শাসক দলের সদস্য রয়েছে। এই অবস্থায় সিআইডি ওই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত করলে সত্য প্রকাশিত হবে না। তাই হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ দল গড়া হোক।
ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন খুঁটিয়ে পড়ে সরকারকে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেয়। এ দিন সরকার পক্ষের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি। বিশেষ তদন্ত-দল গঠন বা ক্ষতিপূরণের ব্যাপারেও কিছু জানায়নি আদালত।
|