পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ি থামাতে গিয়ে জখম হলেন পাঁচ পুলিশকর্মী। ইটের আঘাতে জখম হন দু’দলের ছ’জন। মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়-১ ব্লকের পদ্মপুকুর এলাকার ঘটনা। গোলমালে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তাদের মনোনীত প্রার্থী হাকিম মোল্লার হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিলটি এক সময়ে ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী খলিল মোল্লার বাড়ির কাছে পৌঁছয়। মিছিল থেকে খলিল মোল্লার বাড়ি লক্ষ করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা পালায়। তাদের উপরে সিপিএমের হামলার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরাতে যায়। সেই সময়ে বিক্ষোভকারীরা ফের ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। সেই ইটের আঘাতেই পাঁচ পুলিশকর্মী জখম হন। আহতদের সকলকেই স্থানীয় নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সাত্তার মোল্লার অভিযোগ, “মনোনয়ন প্রত্যাহার করে না নেওয়ায় তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে আমাদের দলীয় প্রার্থী খলিল মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায়। প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের লোকজনের উপরে ইট নিয়ে চড়াও হয়। আমাদের তিন জন জখম হন।” অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হাকিম মোল্লা। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আমরা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলাম। সিপিএমই হামলা করে। আমাদের তিন জন জখম হন।” |