স্পট কেলেঙ্কারির খলনায়কদের বিপুল সংবর্ধনায় ঘরে ফেরার দিনে দিল্লি পুলিশের অস্বস্তি বাড়াল এক ক্রিকেট বুকির পাল্টা অভিযোগ। রাজস্থান রয়্যালসের কর্ণধার রাজ কুন্দ্রার বন্ধু উমেশ গোয়েন্কা অভিযোগ তুললেন। নগর দায়রা আদালতে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশি জেরায় চাপের মুখে তিনি জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকী তাঁকে মারধর করে জবানবন্দি লিখতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। আদালত দিল্লি পুলিশের কাছে শুক্রবারের মধ্যে এর জবাব চেয়েছে।
কুন্দ্রার বিরুদ্ধে প্রধান সাক্ষ্য হিসেবে তাঁর এই জবানবন্দিকেই ব্যবহার করা হতে পারে বলে দিল্লি পুলিশের খবর। তাই উমেশের এই সাম্প্রতিক অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তা হলে ছবিটাই উল্টে যেতে পারে।
রাজ অবশ্য একের পর এক দার্শনিক মন্তব্য পোস্ট করছেন তাঁর টুইটার অ্যকাউন্টে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে তাঁর বক্তব্য, “পরিস্থিতির মোকাবিলা করে যেমন সব পাল্টানো যায় না, তেমন মোকাবিলা না করলে কিছুই পাল্টানো যায় না।” উমেশের এই পাল্টা অভিযোগ তাঁকে স্বস্তি এনে দিতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার। |
তিহাড় জেলে ২৭ দিন কাটিয়ে ঘরের ফেরার পর অবশ্য বেশ স্বস্তি পেয়েছেন স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ক্রিকেটার শ্রীসন্ত। বুধবার সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ কোচির নেদুম্বাসেরি বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁকে ঘিরে যে উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়, তা বেশ অপ্রত্যাশিত। রীতিমতো যুদ্ধজয়ী বীরের অভ্যর্থনা পান তিনি। তাঁর গলায় মালা পরানোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এক ভক্ত আবার তাঁর গায়ে জড়িয়ে দেন মালয়লাম উত্তরীয় ‘পোন্নাডা’।
অপেক্ষারত সাংবাদিকদের উদ্দেশে শ্রীসন্ত বলেন, “এর মধ্যে গভীর চক্রান্ত থাকতে পারে। তবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার পরই এই নিয়ে মুখ খুলব। দেশের বিচারব্যবস্থার ওপরও আস্থা আছে আমার। তবে এমন দুঃসময় যেন আমার শত্রুরও না আসে। আমার বিশ্বাস, অবশেষে যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তিও পাব।” বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন শ্রীসন্তের জামাইবাবু কেরলের খ্যাতনামা গায়ক মধু বালকৃষ্ণন। শালাবাবুকে সাদা বিএমডব্লু গাড়িতে চাপিয়ে তিনি চলে যান শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ত্রিপ্পুনিথুরায়, নিজের বাড়িতে। সেখানেই অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর মা-বাবা ও দিদি। সেখানেও আর এক প্রস্ত সংবর্ধনা এবং আর এক দফা সাংবাদিক বৈঠক। বলেন, “এ বার আমি ক্রিকেটে মন দিতে চাই। জানি না আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমি দলে থাকব কি না। তবে আগামী বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য রয়েছে আমার। কালই প্র্যাক্টিসে নেমে পড়ব। কিছুতেই হাল ছাড়ব না।” এ দিন ঘরে ফিরেছেন আর এক অভিযুক্ত ক্রিকেটার অঙ্কিত চহ্বাণও। অঙ্কিত বলেন, “বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা আছে। আশা করি সঠিক বিচার পাব।”
|