সামনেই বিয়ে। এই খবর শুনে স্কুলছাত্রীকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার পরে নিজের পেটেও ছুরি বসিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক যুবক। পরে হাসপাতালে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার গোলামারা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গোলামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেরা অ্যাথলিট সঞ্জু মাহাতো (১৬) ছুটির পর তিন বান্ধবীর সঙ্গে সঙ্গে হেঁটে পুখুরিয়ায় তার বাড়িতে ফিরছিল। তখনই গোলামারা গ্রামের কাছে জয়পুর থানা এলাকার বনগোড়া গ্রামের বাসিন্দা ভগবান মাহাতো(২৩) নামে ওই যুবক একটি কালভার্টের কাছে অপেক্ষা করছিলেন। জায়গাটি একটু ফাঁকা ছিল। সঞ্জু ওই কালভার্টের কাছে আসতেই ভগবান তার পথ আটকায়। চুলের গোছা ধরে তাকে কালভার্টের নীচে নিয়ে যান ওই যুবক। তাঁর সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায় ভগবানের সঙ্গে সঞ্জুর কথা কাটাকাটি হয়। তার মাঝেই আচমকা প্যান্টের ভিতর থেকে ছুরি বের করে সে পরপর সঞ্জুর পেটে আঘাত করে।
বান্ধবী বাসন্তী মাহাতো বলে, “রোদে বেরোলে যেমন লোকে মুখে কাপড় বাঁধে তেমনি ছেলেটিও মুখে একটা সাদা কাপড় বেঁধেছিল। ও সঞ্জুকে ধরে একটু দূরে নিয়ে গিয়েছিল। সঞ্জু আপত্তি করায় সে জোর করে। বাধা দিতে গেলে আমাদের ছুরি বের করে ভয় দেখায়। তার পর ছুরি দিয়ে সঞ্জুকে মারল। ওই অবস্থায় সে ছুটতে শুরু করে। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেনি। মাঠেই পড়ে যায়। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারই মধ্যে ছেলেটি নিজের পেটে ছুরি বসায়।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকেই পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত্রে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। উদ্ধার হয়েছে ভগবানের সাইকেল, ব্যাগ, কিছু জামাকাপড় ও ছুরিটি। দু’টি পৃথক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু দিন আগে জয়পুরের বনগোড়া গ্রামে সঞ্জুর দিদির বিয়ে হয়। ওই গ্রামে যাতায়াতের সূত্রে সঞ্জুর সঙ্গে ভগবানের আলাপ এবং দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ দিকে আচমকা ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার শোকস্তব্ধ ছিল সঞ্জুর গ্রাম পুখুরিয়া। গোলামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ মাঝি ও দুর্গাপ্রসাদ বাঙাল জানালেন, এ দিন গোটা গ্রামের অনেক বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি। সঞ্জুদের পাড়ার বাসিন্দা সোমরাজ মাহাতোর কথায়, “ঘটনার পর থেকে ওর বাবা এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে তিনি কথা বলার মত অবস্থায় নেই।” গোলামারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঊষ্ণীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সঞ্জু আমার স্কুলের সেরা অ্যাথলিট ছিল। আমরা এক সেরা অ্যাথলিটকে হারালাম!”
দেওয়াল লিখন নিয়ে সংঘর্ষ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হতে না হতেই সোমবার রাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কৃষ্ণনগরের ভাজনঘাট। দু’দলের সংঘর্ষে গুরুতর জখম এক সিপিএম কর্মী নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “আমাদের কর্মীরা দেওয়াল লেখার সময় তৃণমূলের সশস্ত্র গুন্ডাবাহিনী হামলা চালায়।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “দেওয়াল লেখার সময় সিপিএমের লোক অস্ত্র নিয়ে হামলা। অন্ধকারে ওরা নিজেদের লোকদের কুপিয়েছে।” |