নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালবাহী ছোট গাড়ি উল্টে চার যাত্রীর মৃত্যু হল। গুরুতর জখম ২০ জনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। জখমদের মধ্যে তিন জন শিশু রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ ধূপগুড়ি শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রেলওয়ে ওভার ব্রিজের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ধূপগুড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক অনুপ ভৌমিক সরকার বলেন, “অনেকেরই আঘাত গুরুতর।” |
আহত যাত্রী। —নিজস্ব চিত্র। |
রাত পর্যন্ত মৃতদের দুই জনের পরিচয় জানা গেলেও বাকিদের নাম ও ঠিকানা জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতরা হলেন ধূপগুড়ির গাদং গ্রামের বাসিন্দা মালিনা সরকার (২৫) এবং সমীর দাস (৭০)। সমীরবাবুর বাড়ি ধূপগুড়ির জুড়াপানি গ্রাম এলাকায়। ধূপগুড়ি শহরের পর থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াতের রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ায় গাড়ি চলাচল কমে গিয়েছে। বহু গাড়ি ধূপগুড়ি থেকে সাত কিমি দূরে জলঢাকা নদীর সেতু পেরিয়ে ডাউকিমারি হয়ে ঘুরপথে যাচ্ছে। ধূপগুড়ি থেকে চার কিলোমিটার দূরে ঝুমুরে গ্রামের কাছে বিকল হয়ে যাওয়া একটি গাড়ির ৩০ জন যাত্রী বিকল্প গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তবে যাত্রীবাহী গাড়িগুলি চার কিলোমিটার দূরে ঘুরপথ দিয়ে যাতায়াত করার কারণে বিকল গাড়িটির যাত্রীরা মালবাহী গাড়ির ছাদে বসেন। দ্রুত গতিতে ধূপগুড়ির দিকে যাওয়া গাড়িটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে একটি গাছে ধাক্কা মারে। বিকট শব্দ শুনে বাসিন্দারা ছুটে এসে জখমদের উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। ধূপগুড়ির আইসি যুগলচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “গাড়িটি জামালদহ থেকে ধূপগুড়ির দিকে আসছিল। চালকের খোঁজ চলছে।” |