রাজগঞ্জের টাকিমারির মিলনপল্লিতে তৃণমূলের সভায় হামলা চালিয়ে ১০ জনকে জখম করার অভিযোগে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার রাতে তাঁদের মান্তাদাড়ি এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়। সিপিএমের তরফে দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার অভিযোগ করেছেন, নিরীহদের পুলিশ হেনস্থা করছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় একটি অস্থায়ী পুলিশ শিবির তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত শিবিরটি এলাকায় থাকবে।”
সোমবার সকাল থেকেই মিলনপল্লীর পরিবেশ ছিল থমথমে। টাকিমারি বাজার অঘোষিত বন্ধের চেহারা নেয়। রবিবার রাতে মান্তাদাড়ির পূর্ব মিলনপল্লীতে সিপিএমের সভা চলার সময়ে পাশ দিয়ে যাওয়া তৃণমূল সমর্থকদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, সে সময়ে এলাকার কিছু কংগ্রেস নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনায় অন্তত ১০ জন তৃণমূল সমর্থকের জখম হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদের মধ্যে ২ জন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এবং ৩ জন শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার সকালে জখম সমর্থকদের দেখতে নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন বিকেলে তিনি মিলনপল্লীর ঘটনাস্থলেও গিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর অভিযোগ, “জনসমর্থন হারিয়েই বামপন্থীরা সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করেছে। তৃণমূল সমর্থকদের ওপর সে কারণেই বারবার আক্রমণ নেমে এসেছে। সিপিএম যে পাল্টা সংঘর্ষের দাবি করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে এটা প্রমাণ করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।”
যদিও সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই রবিবার রাতে হামলা চালিয়েছে। সিপিএম সমর্থকদের ট্রাক্টর দিয়ে পিষে মারারও চেষ্টা করা হয় বলে সিপিএমের বিদায়ী প্রধান প্রভাবতী মণ্ডল অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি সারারাত তৃণমূলের বাইক বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলেও অভিযোগ সিপিএমের। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “সারা রাজ্যে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। রাজ্য জুড়েই আমাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজগঞ্জে আমাদের উপরে হামলা হয়েছে। আমাদের লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন।” অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার রাতে কংগ্রেসেরও কয়েকজন জখম হয়েছেন।” |
