নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর করা হয়েছিল। সেই অপরাধে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রকে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ছাত্রটির এই শাস্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা বড় অংশ খুশি নন। একে তাঁরা গুরু পাপে লঘু দণ্ড হিসেবে দেখছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নিগৃহীত শিক্ষক অবশ্য ছাত্রটির গুরু দণ্ড চাননি। গত ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় এক ছাত্রীকে নকল করতে বাধা দেন সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক প্রদীপ দাস। ছাত্রীটি তখন ফোনে ওই ছাত্রকে ডেকে পাঠান। ছাত্রটি এসে প্রদীপবাবুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রতিবাদে তাঁরা ক্যাম্পাসে মৌনী মিছিলও করেন।
সোমবার রবীন্দ্রভারতীর এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত ছাত্রকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই।” তিনি জানান, আইন অনুযায়ী ছাত্রটিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করাই হল কঠোরতম শাস্তি। ওই কর্তা বলেন, “অভিযোগকারী শিক্ষকও চাননি, বহিষ্কার করে ছাত্রটির ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হোক। তাই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা বড় অংশের আশঙ্কা, এর ফলে অনেকেই শিক্ষকদের নিগৃহীত করবে এবং মাসখানেক সাসপেন্ড থেকে ফের ক্যাম্পাসে ফিরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সাহস পাবে। এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম, ওই ছাত্রকে বহিষ্কারই করা হোক। তা হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হত। ভবিষ্যতে কেউ এমন আচরণ করার আগে দু’বার ভাবত।” অভিযোগকারী শিক্ষক অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও কিছু জানতে পারিনি। সব না-জেনে কোনও কথা বলব না।” তবে এই শাস্তির কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। |