খালের উপরে বেআইনি কালভার্ট ভাঙতে গিয়ে বাধা পেলেন ‘কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ (কেইআইপি)-এর ইঞ্জিনিয়ারেরা। সোমবার সকালে মুকুন্দপুরের বুধেরহাট নতুনপল্লি এলাকায় সুতি খালের উপরে বেআইনি কালভার্টগুলি ভাঙতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা কোনও মতেই তা ভাঙতে দিতে রাজি নন। তা নিয়েই বাধে বচসা। খবর পেয়ে পুলিশ এলে গোলমালের মাত্রা আরও বাড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধেরহাট নতুনপল্লি ও নবদিগন্তের মাঝে সুতি খালের উপরে ওই কালভার্টটি ২৫ বছরের বেশি পুরনো। ওই কালভার্ট দিয়েই বুধেরহাট নতুনপল্লির অধিকাংশ বাসিন্দা যাতায়াত করেন। কিন্তু স্থানীয় ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি দাসকেও না জানিয়ে কেইআইপি কালভার্ট ভাঙতে শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দা শিখা বসু বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জোর করে আমাদের যাতায়াতের এই রাস্তাটি ভাঙতে চাইছেন। কাউন্সিলরকে পর্যন্ত জানানো হয়নি। এতে বাধা দিলে পুলিশ এসে আমাদের উপরে চড়াও হয়। এলাকার মহিলাদেরও ধাক্কাধাক্কি করে পুলিশকর্মীরা।” স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মানতে রাজি নয় পূর্ব যাদবপুর থানার অফিসারেরা। পুলিশ আরও জানায়, ঘটনাস্থলে যথেষ্ট মহিলা পুলিশ ছিলেন। |
যদিও কেইআইপি-র এক আধিকারিকের কথায়, “খালটি সংস্কার করে বাঁধানো হচ্ছে। সেটির উপরে স্থানীয়েরা বেআইনি ভাবে বেশ কয়েকটি কালভার্ট তৈরি করেছেন। সেগুলি না ভাঙলে খাল দিয়ে জল যাবে না। তা ছাড়া, যাতায়াতের জন্য পাশেই একটি স্থায়ী কালভার্ট করে দিয়েছি আমরা।”
ওই জায়গা থেকে একটু দূরেই রয়েছে একটি বহুতল। সেটির নির্মাণকারী সংস্থাও বেআইনি ভাবে খালের উপর দিয়ে একটি বাঁধানো রাস্তা তৈরি করেছে। কেআইপি-র ওই আধিকারিকেরা জানান, ওই রাস্তাটিও বেআইনি। এক সপ্তাহ আগে সংস্থাটিকে জানিয়ে দিয়েছিলাম,ওটি ভেঙে ওঁরা যাতে অন্য দিক থেকে রাস্তা বার করে দেন। কিন্তু তাঁরা তা করেননি।
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি দাস যদিও কেইআইপি-র কথা মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, “স্থায়ী কালভার্টটি স্থানীয়েরা করতে বলেননি। ওরা তৈরি করলেই বাসিন্দারা মানবেন কেন?” |