ফের মোটরবাইক হানা শহরে। এ বার নিশানায় কলকাতা পুলিশের এক অফিসারের স্ত্রী। সোমবার সকালে যাদবপুরে ওই মহিলার গলার হার ছিনতাই করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
মোটরবাইক বাহিনীর এই ধরনের পরপর হানায় শহরের নানা এলাকা আতঙ্কিত। এ দিনের ঘটনা জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই সিআইডি-কেও বিশেষ ভাবে কিছু কিছু এলাকায় নজর রাখতে বলেছেন। সজাগ থাকতে বলেছেন দলের নেতা-কর্মীদেরও।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ যাদবপুর সেন্ট্রাল পার্কের বাসিন্দা শান্তা চক্রবর্তী ছেলেকে স্কুলে পৌঁছতে যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, বাড়ি থেকে বেরিয়েই তিনি খেয়াল করেন, তিন যুবক মোটরবাইক নিয়ে পাড়ায় ঢুকছে। পাড়া ছাড়িয়ে প্রধান রাস্তার কাছে শান্তাদেবী দেখেন, ওই তিন জন বাইক নিয়ে তাঁদের দিকে আসছে। শান্তাদেবী জানান, সেন্ট্রাল পার্কে তাঁদের বাড়িটি এমন একটি জায়গায় যে, তিন-চারটি রাস্তা দিয়ে ঘুরে এসে প্রধান রাস্তায় পৌঁছনো যায়। তাই ওই যুবকদের মোটরবাইক নিয়ে ফিরে যেতে দেখেও তাঁর সন্দেহ হয়নি। ইতিমধ্যেই হঠাৎ মোটরবাইকটি তাঁর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তখনই ছিনতাই হয় তাঁর সোনার চেনটি।
শান্তাদেবী বলেন, “মোটরবাইকের সামনে দু’টি ছেলে হেলমেট পরে ছিল। তাই তাদের মুখ দেখতে পাইনি। পিছনে বসা লাল টি-শার্ট পরা বছর পঁচিশের যুবক আমার গায়ের ওড়না-সমেত গলার সোনার চেনটি টানে। এর পরেই বাইকের গতি বাড়িয়ে বেরিয়ে যায় তারা।” পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা হারটি খুব জোড়ে টানায় শান্তাদেবীর গলার নীচে আঁচড়ে গিয়েছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে জনবহুল রাস্তায় এমন ঘটনা দেখে মানুষজন হইহই করে ওঠেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই মোটরবাইকটিকে ধাওয়া করেন। কিন্তু ততক্ষণে বাইক নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
গত বছর ২৪ জানুয়ারি কসবায় একই কায়দায় বিদ্যা দেশাই নামে এক মহিলার হার ছিনতাই করতে যায় একদল মোটরবাইক-আরোহী যুবক। ওই মহিলা বাধা দিলে গুলিও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। জখম হন মহিলা। ২০১২ সালে পুজোর পরেও আবার একই ঘটনা ঘটে যাদবপুর, ঢাকুরিয়া অঞ্চলে। শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় মোটরবাইক নিয়ে এসে একের পর এক ছিনতাই চালাচ্ছিল একদল যুবক। ছিনতাইয়ে বাধা দিলে চলত পরপর গুলি। সেই সময়ে পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কয়েক জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও মূল পাণ্ডা ধরা পড়েনি। তার পরে কিছু দিনের জন্য এই ধরনের ঘটনা বন্ধ ছিল। |