টুকরো খবর |
হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে ২ সাংবাদিককে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ব্যারাকপুরের মণিরামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর সংগ্রহের সময়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত দুই সাংবাদিক আস্তিক চট্টোপাধ্যায় ও বরুণ সেনগুপ্তের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু তাঁদের দেহের বিভিন্ন ক্ষতস্থানে ব্যথা কমেনি। রবিবারও তাঁদের একাধিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। আপাতত দু’জনকেই হাসপাতালে থাকতে হবে। এ দিনও তাঁদের দেখতে হাসপাতালে আসেননি তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতা। আসেনি তাঁদের তরফে কোনও ফুল বা শুভেচ্ছাবার্তাও।
এ দিন দুই সাংবাদিকেরই ফের সিটি স্ক্যান হয়েছে। তবে গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। দুষ্কৃতীদের মারে আস্তিকের হাত, পা, কোমর, পিঠের বিভিন্ন অংশের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরুণের কাঁধ, কোমর, দু’হাত ও পায়ে গভীর ক্ষত রয়েছে। ই এম বাইপাসের যে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসাধীন, সেখানকার সিইও স্বরাজব্রত পুরকায়স্থ জানান, দুজনকে এখনই ছাড়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, “দুজনেরই দেহের কিছু অংশে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই চামড়ায় লাল দাগ রয়েছে। ব্যথা কমতে সময় লাগবে। ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে।” শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল, প্রাক্তন নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায় ও অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী হাসপাতালে গিয়ে দুই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিবাদে এ দিন ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে চিড়িয়া মোড় পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করেন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা। |
পুরনো খবর: দেখা মিলল না তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতারই
|
বনগাঁয় তৃণমূল প্রার্থীর উপরে হামলার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
দলীয় কার্যালয় থেকে ট্যাক্সিতে বাড়ি ফেরার পথে এক তৃণমূল নেতা তথা এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের এক প্রার্থীর উপরে হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ গোপালনগরের শ্যাওলাপাড়া এলাকার ঘটনা। হামলাকারীদের ছোড়া ইটে ট্যাক্সিটির কাচ ভাঙে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নির্বাচনী প্রচার শেষ করে দলীয় কার্যালয় থেকে গোপালনগর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ অলোক নন্দী ট্যাক্সি করে হিংলি গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। শ্যাওলাপাড়ায় কয়েক জন যুবক ট্যাক্সিটি ঘিরে ধরে লাঠি দিয়ে বনেটে আঘাত করতে থাকে এবং তাদের ছোড়া ইটে ট্যাক্সিটির কাচ ভাঙে বলে অভিযোগ। এলাকার লোকজন এসে হামলাকারীদের এখ জনকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অলোকবাবু এ বার পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, “ট্যাক্সির কাচ বন্ধ থাকায় বেঁচে গিয়েছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সিপিএম ওই যুবকদের দিয়ে হামলা চালিয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএমের দাবি, ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। সিপিএমের কেউ জড়িত নন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
বাড়ি গিয়ে ভাঙড়ের সিপিএম প্রার্থীকে হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভাঙড় |
মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের বামনঘাটার নস্করপাড়ায় এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সিপিএমের অভিযোগ, তাঁদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী রূপা মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন তিন জন তৃণমূল সমর্থক। সেই সময় রূপাদেবীর বাড়িতে ছিলেন ওই এলাকারই সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রার্থী অর্পনা মণ্ডল। তাঁদের চিৎকারে গ্রামের অন্য সিপিএম সমর্থকেরা ছুটে এলে তৃণমূলের লোকজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পঙ্কজ নস্কর নামে এক তৃণমূল সমর্থককে ধরে মারধর করেন সিপিএম সমর্থকরা। সিপিএমের দাবি, পঙ্কজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, পঙ্কজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে একটি পাইপগান মিলেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভোটের আগে তাঁদের কর্মীকে ফাঁসানো হচ্ছে।
|
নিমতা থেকে গ্রেফতার দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা থেকে কুখ্যাত এক দুষ্কৃতীকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করল হুগলির উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম নারায়ণ দাস। তার বাড়ি উত্তরপাড়া থানা এলাকার বাঁশাই কলোনিতে। নারায়ণ এলাকার দাগি সমাজবিরোধী বাঘার ভাই। পুলিশের দাবি, খুন, ডাকাতি-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার নামে। উত্তরপাড়া থানায় নারায়ণের নামে ১১টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে অবশ্য সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। শনিবার রাতে নিমতার ক্ষেত্রমোহন ঘোষ রোড থেকে পুলিশ তাকে ধরে। রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ৩ দিন পুলিশি হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
|
বসিরহাটে যোগ তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেস ও সিপিএম নেতা-সহ প্রায় হাজার খানেক সমর্থক। রবিবার সন্ধ্যায় বসিরহাট ইছামতী সেতুর পাশে বসিরহাট পুরসভার ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কমিটির ডাকে এক সভায় এই সমস্ত কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। সভায় তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুরুল ইসলাম। সভায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার সিপিএমের চাণ্ডি কুণ্ডু, কংগ্রেসের সঞ্জীব হাজরা, শুভাশিস হালদার, ত্রিমোহনী এলাকার দু’টি আইএনটিইউসি পরিচালিত অটো রিকশা ইউনিয়নের সদস্য-সহ আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দেন।
|
পাটের গুদামে আগুন বাগদায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা |
আগুন লেগে শনিবার গভীর রাতে বাগদা বাজারের একটি গুদামের কয়েক লক্ষ টাকার পাট পুড়ে গিয়েছে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। গুদামটি পাটকেলগাছা গ্রামের তৃণমূল সমর্থক সোয়ারফ মণ্ডলের। তাঁর অভিযোগ, দলেরই একটি গোষ্ঠীর লোকেরা চক্রান্ত করে গুদামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে, এ নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত কোনও অভিযোগ তিনি দায়ের করেননি। পুলিশ জানায়, আগুন লাগার কারণ পরিষ্কার নয়। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
শিশুর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী |
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেল চার বছরের শিশু। রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে বাসন্তীর চাঁদখালিতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ইনজামুল মোল্লা। খেলতে খেলতে সে রাস্তায় চলে এসেছিল। গঁদখালি-বারুইপুর রুটের বাসটি চাপা দেয় তাকে। বাস ফেলে চালক পালায়। প্রতিবাদে জনতা কিছু ক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ করেন। ইট ছুড়ে বাসটির কাচ ভাঙা হয়।
|
কংগ্রেস প্রার্থীকে হুমকি |
প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্যে মহিলা প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বনগাঁয়। রবিবার দুপুরে বনগাঁ ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রার্থীর নাম স্বপ্না কর্মকার। বাড়ি গোপালনগরের সাতবেড়িয়া এলাকায়। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তিনি ওই এলাকা থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। স্বপ্নাদেবীর অভিযোগ, এ দিন দুপুরে ওই গ্রামেরই কিছু মদ্যপ যুবক তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্যে হুমকি দেয়। তার উদ্দেশ্যে কটুক্তিও করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
সাত বাংলাদেশি ধৃত |
দালাল ধরে চোরাপথে এ দেশে ঢোকার অভিযোগে সাত বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে গাইঘাটার আংড়াইল সীমান্ত দিয়ে ঢোকার সময়ে বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের পাকড়াও করে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। |
|