সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটির নেতা মানিক দাস পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ায় সামনে এল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
রবিবার সকালে তৃণমূলের জনা পঞ্চাশ কর্মী-সমর্থক মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মির্জাপুর-বাঁকিপুরের বাড়িতে যান। জেলা পরিষদের একটি (বড়া) আসনে মানিকবাবুকে প্রার্থী করা নিয়ে তাঁরা আপত্তি তোলেন। কর্মীদের দাবি, রবীন্দ্রনাথবাবু বা মাস্টারমশাইয়ের ‘সুপারিশে’ই দলের টিকিট পেয়েছেন মানিকবাবু। তাঁদের দাবি, ওই পদে প্রার্থী করতে হবে নিমাইচরণ মালিককে। রবীন্দ্রনাথবাবু পরে বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফলে এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নেই।” |
নিমাইচরণ মালিকের নামে দেওয়াল লিখন। —নিজস্ব চিত্র। |
তৃণমূলের অন্দরের খবর, কিছু দিন আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে মানিকবাবুর বিরুদ্ধে। দলের একটি অংশ এ কারণে তাঁকে টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করছিলেন। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না নিজেই মানিকবাবুকে প্রার্থী করার বিরোধী। কিন্তু সিঙ্গুরে আন্দোলন পর্ব থেকে একাধিক শীর্ষ নেতা-নেত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মানিকবাবুরই পাশে দাঁড়ায় দল। সেই থেকেই এই এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। এ দিন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
ঘটনা হল, নিমাইচরণবাবু ছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, মাস্টারমশাই কিন্তু এখন চান মানিকবাবুই প্রার্থী হোন। সে কারণেই এই দিন তাঁর বাড়িতে ‘বিক্ষোভ’ দেখানো হয়েছে।
কী বলছেন বেচারামবাবু? তাঁর কথায়, “এটাকে বিক্ষোভ বলা হচ্ছে কেন? দলের কর্মীরা আমাদের বিধায়কের বাড়িতে যাবেন না?” আজ, সোমবার প্রথম দফা নির্বাচনে প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন। স্থানীয় নেতৃত্বের চাপে শেষ পর্যন্ত মানিকবাবুকে নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করে কিনা তৃণমূল, এখন দেখার সেটাই। |