জমি থেকে উত্খাতের অভিযোগ ছিল। সেই উদ্দেশ্য পূরণ করতে এ বার এক প্রৌঢ়কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর দলবলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বর থানার চাঁপাডাঙার মিদ্দেপাড়ায়। আমজেদ মিদ্দা নামে ওই প্রৌঢ়কে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
প্রহৃত আমজেদ। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মিদ্দেপাড়ার আমজেদ মিদ্দার বেশ কিছুটা জমি আছে। ওই জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের কিছু লোকের মদতে অন্য পক্ষ ওই জমির দখল নিতে চাইছে। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। উল্টে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা এবং পুলিশের উপস্থিতিতে জোর করে জমির চারপাশে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।
অভিযোগ, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থিপদ সুনিশ্চিত হওয়ার পরে শনিবার রাত ৮টা নাগাদ তৃণমূল নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় ওরফে লাল্টুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জনা সাতেক যুবক আমজেদের বাড়িতে হামলা চালায়। লোহার রড এবং লাঠি আমজাদকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই প্রৌঢ়ের মাথা ফেটে যায়, ঘাড়ে আঘাত লাগে, বাঁ পা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁকে হাসপাতালে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
পরে পুলিশ আসে। আমজেদকে নিয়ে যাওয়া হয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাটি মৌখিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও লিখিত অভিযোগ হয়নি। হাসপাতালে শুয়ে আমজেদ বলেন, “অনেক দিন ধরেই ওরা আমার জমিটা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। এ বার আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রভাতবাবু। তাঁর দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। যারা মারধর করেছে তারা দলীয় সমর্থক হতে পারে, কিন্তু একই পরিবারের সদস্য।” পুলিশ জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |