|
|
|
|
তাই গ্রাঁ প্রি জিতলেন শ্রীকান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শীর্ষবাছাই। বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বর। তার উপর আবার স্থানীয় প্লেয়ার। এমন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার তিন-তিনটে চাপ! অথচ কাদম্বি শ্রীকান্তকে দেখে কে বলবে এত চাপ সামলে তাইল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন গ্রাঁ প্রি ফাইনালে ৩৪ মিনিটে উড়িয়ে দিয়েছেন বুনসাক পনসানাকে! তা-ও আবার ২১-১৬, ২১-১২-র দাপটে।
২০০১-এ পুল্লেলা গোপিচন্দের অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর বিদেশে কোনও ভারতীয় পুরুষ প্লেয়ারের প্রথম বড় খেতাব। এবং বছর কুড়ির তরুণের গত বছর মলদ্বীপ ইন্টারন্যাশনালের পর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ট্রফি। কী করে সামলালেন এত চাপ? বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে ৬১ নম্বর শ্রীকান্ত বলে দেন, “ওর দিকেই দর্শকদের সমর্থন থাকাটা স্বাভাবিক। তবে ও বিশ্বের আট নম্বর হলেও জানতাম ৫০-৫০ সুযোগ রয়েছে আমার জেতার। এক বার কোর্টে নামার পর আর কিছুই মাথায় ছিল না।” আর স্ট্র্যাটেজি? টুর্নামেন্টের ত্রয়োদশ বাছাই ভারতীয় প্লেয়ার বলেন, “নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করা। প্রত্যেকটা পয়েন্টে ফোকাস করা। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, জানতাম এই দিন যে ভাল খেলবে সময়টা তারই হবে।” |
|
শ্রীকান্তের এই সাফল্যের পিছনে রহস্য একটাই, প্রচণ্ড চাপ নেওয়ার ক্ষমতা। এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ কোয়ার্টার ফাইনাল আর দু’বছর আগে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে প্রি-কোয়ার্টারে ওঠার পর থেকেই তাই তাঁর আন্তর্জাতিক সার্কিটে উঠে আসার গ্রাফটা দুর্দান্ত। গত বছর জুনে মলদ্বীপে হারান বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন জুলকফলি-কে। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ চলতি মরসুমে ইন্ডিয়ান ওপেন গ্রাঁ প্রি-তে বিশ্বের ছ’নম্বর ডেনমার্কের ইয়রগেনসেনকে উড়িয়ে দেওয়াটা।
বছর চারেক আগে গোপীচন্দের অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হতে ভাইজাগ থেকে হায়দরাবাদ আসেন শ্রীকান্ত। ডাবলস খেলতে বেশি আগ্রহী হলেও ‘গোপি স্যরের’ পরামর্শে সিঙ্গলসেও জোর দেন। এ দিনই আবার শ্রীকান্তের দাদা নন্দগোপাল মলদ্বীপ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টনে মিক্সড ডাবলস চ্যাম্পিয়ন হলেন।
|
পুরনো খবর: দারুণ শ্রীকান্ত |
|
|
|
|
|