|
|
|
|
কম স্কোর প্রচুর উত্তেজনা এবং জয়ী নিউজিল্যান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এমন রানের খরা আদৌ ক্রিকেটের পক্ষে ভাল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতেই পারে। তবে এমন ‘ইটের জবাব পাটকেল’ দেখতে মাঠে যেতেই পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শ্রীলঙ্কাকে ১৩৮ রানে শেষ করে দেওয়ার পর নিউজিল্যান্ড ৭০-৫। তার পর জয়ের জন্য যখন ৯১ বলে মাত্র পাঁচ রান প্রয়োজন, তখন শেষ ব্যাটসম্যান ব্যাট করতে নামছেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় এল, তবে তাও বেশ রোমাঞ্চকর মুহূর্তে, ওয়াইড বলে রান আউট বাঁচিয়ে। কে বলবে, তিন দিন আগে এই মাঠেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে রানের ফুলঝুরি ছুটেছিল?
গত সাড়ে তিন বছরে শ্রীলঙ্কাকে ওয়ান ডে-তে হারাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে কিউয়িদের সেই শেষ লঙ্কা জয় এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরেই। এ দিন তাই চার বছরের অপেক্ষার অবসান। শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের বার বার হোঁচট খাওয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে বারুদের গন্ধ ছড়াতেই নেমেছেন ব্রেন্ডন ম্যাকালামরা। কুমার সঙ্গাকারা (৬৮) তাঁর দলের সেই তিনজন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম, যিনি দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন এ দিন। তবে ২০ পেরনো ব্যাটসম্যান বলতে শুধু তিনিই। এমন দুর্দশা শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে সাম্প্রতিককালে দেখা গিয়েছে? মনে তো পড়ে না। রেকর্ড বলছে, প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রানের ইনিংসের তালিকায় এটা পাঁচ নম্বরে। ৩৮তম ওভারেই খতম তাদের ইনিংস!
বোলাররাই যেখানে মস্তানি করে গেলেন সর্বক্ষণ, সেখানে আর ব্যাটসম্যানদের কী করার আছে? বাঁহাতি পেসার মিচেল ম্যকলানাঘান (৪-৪৩) যেমন ধস নামালেন, তেমন শোনা গেল লসিথ মালিঙ্গার (৪-৩৪) হুঙ্কারও। কাইল মিলসের (২-১৪) জবাব শমিন্দা এরঙ্গা (২-৪৫)। সেই বিশ্বকাপের পর এই প্রথম মাঠে নামা ড্যানিয়েল ভেত্তোরি (১-১৬) ও নাথান ম্যাকালামের (২-২৩) সঙ্গে হল রঙ্গনা হেরাথ (১-৩৬) ও তিলকরত্নে দিলশানের (১-১২) লড়াই।
সঙ্গাকারা তা-ও একটা ৬৮-র ইনিংস খেলতে পেরেছেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের অবদান নাথান ম্যাকালামের, ৩২। টি টোয়েন্টির বাজারে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এমন তুমুল যুদ্ধ দেখতে খারাপ লাগে না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৩৮ (সঙ্গাকারা ৬৮, ম্যাকলানাঘান ৪-৪৩)
নিউজিল্যান্ড ১৩৯-৯ (নাথান ম্যাকালাম ৩২, মালিঙ্গা ৪-৩৪) |
|
|
|
|
|