|
|
|
|
মরণ-বাঁচন যুদ্ধে অনিশ্চিত স্টেইন
সংবাদসংস্থা • বার্মিংহাম |
পেশির চোটের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে পারেননি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ ‘বি’-র দ্বিতীয় ম্যাচেও অনিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ডেল স্টেইন। সোমবার এজবাস্টনের যে ম্যাচ দুটো টিমেরই দ্বিতীয় ম্যাচ, কিন্তু যে ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা আর পাকিস্তান দু’দলই টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে। ভারতের বিরুদ্ধে ৩৩১ তাড়া করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। যার পরের দিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দু’উইকেটে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। সোমবার তাই দু’দলের সামনেই মরণ-বাঁচন লড়াই।
যে লড়াইয়ের আগে পরিসংখ্যান অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে। গত মার্চে ওয়ান ডে সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-২ হারিয়েছে তারা। দু’দেশের ওয়ান ডে সিরিজে তো বটেই, এমনকী বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও কোনও দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। প্রোটিয়ারা আবার এজবাস্টনে ছ’টা ওয়ান ডে খেলে একটাতেও হারেনি। আর গত বৃহস্পতিবার ভারতের কাছে হারলেও নেট রানরেটের বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্য দিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ১৭০ তুলে পাকিস্তানের নেট রানরেট একেবারেই ভাল নয়।
তবে এ সবের মধ্যেই পাক শিবিরের জন্য সুখবর ডেল স্টেইনের অনিশ্চয়তা। আর এক পেসার মর্নি মর্কেলেরও চোট। তাঁর জায়গায় সোমবার ওয়ান ডে অভিষেক প্রায় নিশ্চিত ক্রিস মরিসের। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে যিনি আইপিএল সিক্সে বেশ ভাল বল করেছেন। দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে অ্যারন ফ্যাঞ্জিসোর খেলার সম্ভাবনাও ভাল ভাবেই রয়েছে। আর খুব স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তান চায়, বিপক্ষের সেরা দুই পেসারের অনুপস্থিতির পুরো ফায়দা নিতে। পাক অধিনায়ক মিসবা উল হক এ দিন তো বলেও দিয়েছেন, “যে কোনও টিমের কাছেই তাদের সেরা প্লেয়ারদের হারানোটা বড় ধাক্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও তাই। আমাদের টিমের ব্যাটসম্যানদের যে সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।”
সোমবার যে পিচে খেলা হবে, গত শনিবার সেখানেই অস্ট্রেলিয়াকে ৪৮ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইয়ান বেল বলেছিলেন, পরের দিকে পিচে ব্যাট করা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। যা শুনে নিশ্চয়ই খুশি হবেন পাক স্পিনাররা। যদিও সব মিলিয়ে মেঘলা পরিবেশে পেসারদেরই বেশি সাহায্য পাওয়ার কথা। |
|
|
|
|
|