শিক্ষকদের ঘরে মদের আসর বসানোর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে বদলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
শুক্রবার ওই নির্দেশ কোচবিহার জেনকিন্স স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে এসে পৌঁছেছে। স্কুলের শিক্ষক তথা তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি স্কুল শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিজন সাহাকে বীরভূমে এবং সহ শিক্ষক দিলীপ রায়কে মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে। দ্রুত তাদের নিদিষ্ট স্কুলে গিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেনকিন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্তিক পাত্র বলেন, “দুই শিক্ষকের বদলির নির্দেশ এসেছে বলে শুনেছি। আমি কলকাতায় আছি। কোচবিহারে ফিরেই সরকারি নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।”
প্রায় দেড়শো বছর পুরনো কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের শিক্ষকদের বসার ঘরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মদ ও মাংসের ঢালাও আসর বসানোর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় বিজনবাবু, দিলীপবাবু এবং এক শিক্ষাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন অবশ্য তাঁরা ব্যাক্তিগত জামিনে ছাড়া পান।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক মদ্যপানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল প্রভাবিত সরকারী স্কুল শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিজন সাহার বক্তব্য, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বদলির বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনও চিঠি হাতে পাইনি। সরকারি নির্দেশ মেনে চলব।” অন্য এক শিক্ষক দিলীপ রায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূল প্রভাবিত স্টেট গভমেন্ট স্কুল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের কোচবিহার জেলা সম্পাদক ভজন বসাক বলেন, “ওই দিন আরও অনেকে স্কুলে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, “যাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের সঙ্গে দলের যোগাযোগ নেই।” |