শহরের অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশকেই পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমার নিরাপত্তার কাজে বহাল হওয়ায় রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় নজরদারি কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এর ফলে, শহরের মোহনবাটি, সুপার মার্কেট, বিদ্রোহী মোড়, বিধাননগর মোড়, আশা টকিজ ইনস্টিটিউট, বীরনগর, রাসবিহারি মার্কেট, দেবীনগর, এমজি রোড, পুরসভার বাস স্ট্যান্ড মোড়, হাসপাতাল রোড, দেহশ্রী মোড় আর শিলিগুড়ি মোড় এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রুটের যাত্রিবাহী বাস, ট্রেকার, অটো দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে ও নামাচ্ছে। ব্যবসায়ীর একাংশ মোহনবাটি এলাকায় রাস্তার ধারে ট্রাক ও ট্রেকার দাঁড় করিয়ে পণ্য ওঠানো ও নামানোর কাজ করছেন বলে অভিযোগ।
রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন এসআই, চার জন এএসআই সহ প্রায় ৫০ জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে রয়েছেন। তার মধ্যে সম্প্রতি ৩৫ ট্রাফিক পুলিশকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তোলা এবং জমা নেওয়ার কাজে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জ সদরের ট্রাফিক পুলিশের ডিএসপি জ্যোতিষ রায় বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা ও তোলার কাজ নির্বিঘ্নে শেষ করতে বেশির ভাগ ট্রাফিক পুলিশকে জেলার নানা বিডিও ও মহকুমাশাসকের দফতরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশকে দিয়ে শহরের যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করানো হচ্ছে। বেআইনি পার্কিং রুখতে সাধারণ পুলিশদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের সুপার অরবিন্দ তান্ত্রির অভিযোগ, যানজটে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ার খবর রয়েছে। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের দুই সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী ও জয়ন্ত সোম জানান, ব্যবসায়ীদের রাস্তার ধারে গাড়ি পার্কিং না করার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যানজট কমানোর জন্য পুলিশ-পুরসভাকে অনুরোধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “যানজট নিয়ে কেউ অভিযোগ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব।” তিনি এই দিন জানান, পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার দিকটি অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত অবশ্য বলেছেন, “সে ভাবে খুব যানজটের কোনও খবর নেই।” |