|
|
|
|
দল বদলের ‘শাস্তি’ মারধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
বিয়ে বাড়ির আলোক সজ্জার বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দিনমজুরকে বেঁধে মারধর করার ঘটনায় ছয় জনের নামে মামলা রজু করল পুলিশ। এর মধ্যে আরএসপি-র কৃষক সংগঠনের এক নেতাও আছেন। ওই দিনমজুরের বিরুদ্ধেও পাল্টা হামলার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় জড়িত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গ্রামের একাংশ বাসিন্দা। আহতের অভিযোগ, তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় চোর অপবাদ দিয়ে সারারাত তাঁকে বেঁধে মারধর করা হয়। ফালাকাটা থানার আইসি ধ্রুব প্রধান বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ফালাকাটা থানার দেওগাঁ গ্রামে। পুলিশ জানাচ্ছে, জখম ওই দিনমজুরের নাম আবদুল আজিজ। রাতে তাঁকে ফালাকাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একসময় আবদুল আজিজও আরএসপি করতেন। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “আরএসপি’র সমর্থক গ্রামের এক বাসিন্দার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমার বাড়ি ঘেঁষে আলোক সজ্জার খুঁটি লাগানো হয়। এতে সমস্যা হচ্ছিল। তা উপড়ে ফেলায় বিয়ে বাড়ির লোকজন-সহ আরএসপি কর্মীরা আক্রমণ করে। চোর অপবাদ দিয়ে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। গভীর রাতে ছাড়া হয়।”
এলাকার তৃণমূল নেতা রঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, “সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরএসপি যা করেছে তা মানা যায় না। আসলে আরএসপি-র পায়ের তলায় মাটি চলে গিয়েছে। তাই এলাকায় ভয়ভীতির রাজনীতি করতে চাইছে।” তবে ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আরএসপি-র ফালাকাটার জোনাল সম্পাদক জ্ঞানেন দাস। তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিয়ে বাড়ির আলোর খুঁটি খুলে ফেলায় প্রতিবেশীদের মধ্যে গোলমাল হয়। রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে।” ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আরএসপি’র কৃষক সভার নেতা জাবেদ আলি বলেন, “আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন আবদুল আজিজ আলোক সজ্জার খুঁটি উপড়ে ফেলে দেন। কয়েক জন বাধা দিলে তিনি পাল্টা মারধর করেন। বচসা থেকে দুই পক্ষে মারপিট হয়। কোনও রাজনৈতিক বিষয় নেই।” |
|
|
|
|
|