|
|
|
|
দুই জেলায় হলুদ সতর্কতা |
একটানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
পাহাড় ও সমতলের টানা বৃষ্টিতে যেন ফুঁসছে তিস্তা নদী। বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া দোমহনী এবং মেখলিগঞ্জে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সেচ দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় এই সর্তকতা রয়েছে। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জল বাড়তে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের অনান্য নদীগুলিতেও। মালবাজারের চেল নদীর জল বেড়েও নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিম্নচাপের কারণে গত সপ্তাহের গোড়া থেকেই উত্তরবঙ্গের সমতল ও পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান গঙ্গাধর দে বলেন, “টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন নদীতে জল বেড়েছে ঠিক, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রাক বর্ষার মরসুমে বেশির ভাগ নদীবাঁধেই সংস্কারের কাজ হওয়ায় তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।” |
|
জলপাইগুড়িতে তিস্তা সংলগ্ন দোমহনির বর্মনপাড়ায় এলাকায় জল ঢুকেছে। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
গত বুধবারের পর থেকে পাহাড়ে বৃষ্টি কমলেও সমতলে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়িতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেবকের পাহাড়ি এলাকায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ডুয়ার্সের ডায়না এলাকায় প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মালবাজারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৩ মিলিমিটার। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুয়ার্স ও লাগোয়া সেবক পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষার আগেই তিস্তা নদীর জল প্রায় বিপদসীমার কাছ দিয়ে বইতে থাকার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে নি বলে জানা গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে। নিম্নচাপটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে সরে গেলেও, নিম্নচাপের টানে জলীয় বাষ্প ভরা মেঘ উত্তরবঙ্গের আকাশে থাকায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “আগামী শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বর্ষার শুরু থেকেই টানা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তবে তার আগে দু দিন আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে। সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙে বৃষ্টি হয় সামান্য, ২০ মিলিমিটারেরও কম পরিমাণ।” |
|
|
|
|
|