|
|
|
|
খেজুরিতে উলটপুরাণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
গত পঞ্চায়েত ভোটে যেখানে ২টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টিই নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হয়েছিল বামেরা, সেই খেজুরিতেই এ বার উল্টো চিত্র। মনোনয়ন জমার পর্ব শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে এ বার ২টি পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ আসন-সহ ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল। খেজুরি-১ ব্লকের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৩টি আসনের মধ্যে ৫৪টি আসনে ও খেজুরি-১ পঞ্চায়েত সমিতির ১৮টি আসনের মধ্যে ৮টিতে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। একই ভাবে খেজুরি-১ পঞ্চায়েত সমিতির হেঁড়িয়া, লাক্ষী ও কামারদা গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করেছে তৃণমূল। হেঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে ১০টি, লাক্ষী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে ৯টি এবং সিপিএমের আমলে ‘লেনিন নগর’ হিসেবে কুখ্যাত কামারদা পঞ্চায়েতে ১৩টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই বিরোধীদলের কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়নি। অন্য দিকে খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির ১৫টি আসনের মধ্যে ৫টিতে এবং ৯০টি পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করেছে। খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলের গর্বভরে ঘোষণা, “আরও বেশ কিছু বিরোধী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আরও আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত হবে।” যদিও এই ছবিকে ‘গণতন্ত্রের লজ্জা’ বলেই মনে করছেন সিপিএম নেতারা। কংগ্রেসের কাঁথি মহকুমা সভাপতি গঙ্গারাম মিশ্রের অভিযোগ, “ভয়েই প্রথমে কেউ খেজুরি ১ আর ২ ব্লক অফিসে যেতে পারেনি। নিবার্চন কমিশন মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে বলে শেষ মুহূর্তে নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল হয়। আগেই এই নির্দেশ দেওয়া হলে এতগুলো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পারত না তৃণমূল।” |
|
|
|
|
|