|
|
|
|
এখন মনোনয়ন তোলার জন্য হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে সন্ত্রাসের আবহ চারদিকে। সন্ত্রাসের জেরেই পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ১ ও ২ ব্লকের অধিকাংশ আসনে বামেরা প্রার্থী দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ, যে ক’জন বামেদের হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদেরও নিত্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জমা পড়ল এ বার। বুধবার সন্ধ্যায় খেজুরি-২ ব্লকের সিপিএমের জেলা পরিষদের মহিলা প্রার্থী মিঠু মণ্ডলের (ঘোষ) বাবাকে মারধর করা ছাড়াও মা ও ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মিঠুদেবীর বাবা সুভাষ মণ্ডল অভিযোগ করেন, “বুধবার খেজুরি-২ ব্লক অফিসে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় শ্যামপুরের কাছে একদল তৃণমূল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। আমাকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করার পর স্ত্রী ও ছেলেকে জোর করে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায় ওরা” খেজুরি থানার পুলিশ সুভাষবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অপহরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে, বাবা-ছেলেকে মারধর করা হয়েছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তিও করেছে পুলিশ। খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল সেই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
মোহনপুর ব্লকের শিয়ালসাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মথুরিবাড় গ্রামের বাসিন্দা সিপিএমের মোহনপুর জোনাল কমিটির সদস্য পঞ্চানন জানা এ বার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। গত বিধানসভার ভোট থেকেই তিনি ঘরছাড়া। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের সশস্ত্র লোকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে ভাইকে মারধর করে। ওই পঞ্চায়েতেরই আঁতলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আয়মৎউল্লা কংগ্রেসের তরফে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও ঘরছাড়া। বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতেও তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বোমাবাজি ও মারধর করা হয় তাঁর ভাই শেখ খলিলকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
তৃণমূল নিজেদের মধ্যেও মারামারি করছে।পটাশপুর ২ ব্লকের সাউৎখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামুনবাড়ে মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা অপরেশ সাঁতরার উপর হামলার ঘটনায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দুই কর্মী গ্রেফতার হওয়ার পর পাল্টা মামলা করল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। ওই রাতেই তৃণমূলের সাতশতমাল বুথ কমিটির অফিস ভাঙচুর করা ও দলীয় সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগে বুধবার মামলা রুজু হয়। সেখানে পাল্টা অভিযুক্ত করা হয় অপরেশ সাঁতরা-সহ এগারো জনকে। প্রসঙ্গত, ওই এলাকা থেকেই এ বার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি স্বপন মাইতি। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা অপরেশ সাঁতরার দাবি, “অপহৃত হওয়ার পর যে তিন জনকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করালো তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওসি স্পষ্টতই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছেন। তাই তিনি মিথ্যে মামলা রুজু করেছেন।”
অন্য দিকে, ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী অসিত প্রধানের প্রস্তাবক পূর্ববাড় গ্রামের বাসুদেব মিশ্রকে ভয় দেখিয়ে প্রস্তাবক হিসাবে নাম প্রত্যাহার করনোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের ভগবানপুর জোনাল কমিটির সদস্য গৌরকান্তি বলের অভিযোগ, দুই তৃণমূল নেতা গোষ্ঠবিহারী খাটুয়া ও মানস দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের সশস্ত্র লোকজন বাসুদেবকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি এখনও নিখোঁজ। |
|
|
|
|
|