|
|
|
|
অশান্তির আবহে সৌজন্যের ফোন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
লাগাতার অশান্তির আবহে স্বস্তি এনে দিল রাজনৈতিক সৌজন্য। সিপিএমের জেলা সভাধিপতি ফোন করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে। বললেন, “আপনাদের যে ক’জন ঘরছাড়া রয়েছে, তাঁদের ফিরতে বলুন। প্রয়োজনে পুলিশ নিয়ে তাঁরা গ্রামে ফিরুন। আমাদের কেউ তাঁদের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটাবে না।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতির জবাব, “আমরা পুরো বিষয়টাই পুলিশ- প্রশাসনকে জানিয়েছি। ঘরছাড়াদের সঙ্গেও কথা বলছি। দেখছি, কী করা যায়।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলাকে কেন্দ্র করে সামনে এসেছে রাজনৈতিক সৌজন্যের এই ছবি। শুধু ব্লক তৃণমূল সভাপতি গৌতম জানাকে নয় নয়, বিডিও সুতপা নস্কর এবং স্থানীয় ওসি পঙ্কজ মিস্ত্রিকেও ফোন করে ঘরছাড়াদের দ্রুত ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন সিপিএম পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। সোমবার রাতে তৃণমূল-সিপিএম গোলমাল বাধে পিংলার ধনেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথচকে। পুলিশকে বাধা দিতে কেটে দেওয়া হয় রাস্তা। রঘুনাথচকেই গ্রামেই বাড়ি অন্তরাদেবীর। তিনি এ বারও জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার রাতের ওই গোলমালের পর থেকে তৃণমূলের সাত কর্মী ঘরছাড়া। এ কথা মানছে সিপিএমও। যদিও দলের স্থানীয় এক নেতার দাবি, “ওই সাত জন ইচ্ছে করেই ঘরে ফিরছেন না।” আর তৃণমূলের বক্তব্য, “ঘরছাড়া কর্মীরা ঘরে ফিরলে ফের যদি হামলা হয়, তখন কী হবে?”
চাপানউতোরের এই আবহেই বুধবার রাতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গৌতম জানাকে ফোন করেন অন্তরাদেবী। যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ জেলা সভাধিপতি। তিনি বলেন, “আমাদের কেউই অশান্তি চায় না। আমরা চাই, মানুষ শান্তিতে থাকুন। পুলিশ-প্রশাসন থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল, সকলকে সেই কথাই জানিয়েছি।” জেলা সভাধিপতির সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে, তা মানছেন গৌতমবাবু। তাঁর বক্তব্য, “ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, পুলিশ-প্রশাসনই ঘরছাড়াদের ফেরানোর ব্যবস্থা করবে।” |
|
|
|
|
|