প্রার্থী প্রত্যাহারেও হুমকির নালিশ
‘সন্ত্রাসে’ প্রার্থী দেওয়া যায়নি, সরব বিরোধীরা
ময় বদলেছে। জায়গা বদল করেছে শাসক ও বিরোধী দল। কিন্তু চিত্রটা এতটুকুও বদলায়নি!
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ও কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি। একাধিক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল সিপিএম। এবার শাসক দল তৃণমূল। এবারও একাধিক আসনে প্রার্থী দিতে পারল না সিপিএম, কংগ্রেস বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকী যে সব আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে সেখানেও নির্বিঘ্নে ভোট হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বিরোধী দলগুলির।
এ ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের কটাক্ষ, “যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাইত, তাহলে সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এত টালবাহানা করত না। আসলে ওরা নিজেদের ভৈরব বাহিনী আর বাইক বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করতে চাইছে। মনোনয়ন জমা দিতে দিল না, যাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছে তাঁদের প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছে, এটাকে কী অবাধ নির্বাচন বলব! যদি নির্বাচন হয়, তাহলে যে ক’টা আসন দিতে পেরেছি, সেখানে মানুষই জবাব এর জবাব দেবেন।” একই সুরে সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে ফেলা থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও প্রত্যাহারের হুমকি চলছে। বিষয়টি প্রশাসনের সবস্তরেই জানিয়েছি। দাবি করেছি, সন্ত্রাস বন্ধ হোক। সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। আমাদের প্রার্থী ছিল না এমন নয়। সন্ত্রাসের কারণে প্রার্থী দেওয়াই গেল না।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবেরও অভিযোগ, “চরম সন্ত্রাস চলছে। মনোনয়ন জমা দেবে কী করে! নাহলে আরও অনেক প্রার্থী দিতে পারতাম। কী ভাবে নির্বাচন হবে, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
তার মধ্যে বিরোধীরা যে প্রার্থী দিয়েছে সেই সমস্ত আসনেও আদৌ নির্বাচন করা যাবে কিনা বা তাঁদের জোর করে প্রার্থীপদ প্রহ্যাতার করতে বাধ্য করা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে সিপিএম, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি। ইতিমধ্যেই গড়বেতা, নারায়ণগড়, কেশপুর-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই প্রার্থী ও প্রস্তাবকদের নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। দীপক সরকারের অভিযোগ, “মনোনয়নপত্রে মোবাইল নম্বরও দেওয়া রয়েছে। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রার্থী ও প্রস্তাবকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের জন্য।” সন্তোষ রাণার অভিযোগ, “খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। স্ত্রীকে থান কাপড় কিনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি চলছে। এত জঘন্য সন্ত্রাস, ভাবা যায় না।”
যদিও এই ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ। তাঁর কথায়, “এই ধরনের ন্যক্কারজনক সন্ত্রাস চালাত সিপিএম। আমরা সন্ত্রাস করলে কেউ কী প্রার্থী দিতে পারত। আসলে, মানুষ এখন সিপিএমকে ঘৃণা করছে। তাই প্রার্থী খুঁজে পায়নি। এই কারনেই কুৎসা ও অপপ্রচার করছে। নির্বাচনের ফলই ফের বুঝিয়ে দেবে, মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে। যদি মানুষ আমাদের সঙ্গে না থাকতেন, মির্বাচনের আগেই বহু আসনে আমরা বিনা প্রতিন্দ্বদ্বিতায় জিততাম না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.