চার বছরের অনার্সে আপত্তি, চিঠি জেটলির
শিক্ষক, ছাত্রদের আপত্তিতে বিতর্ক বেধেছিল আগেই। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম চালু করার বিরোধিতায় এ বার সরব হল কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এই শিক্ষাবর্ষেই যাতে নতুন পাঠ্যক্রম চালু না হয়, সেই দাবিতে আজ কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির অরুণ জেটলি। যদিও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এ বছর থেকেই চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম চালু হবে। এই পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তির প্রক্রিয়াও শুরু হয় কলেজে কলেজে।
চলতি বছর থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রম চার বছরের করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। প্রথম থেকেই ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাবিদদের একটি বড় অংশ ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। কেবল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই পাঠ্যক্রম চালু করা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপত্তি জানিয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। একাধিক মহল বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানোয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে গোটা প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। বিতর্ক মেটাতে ওই পাঠ্যক্রমের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সেই কমিটি কাজ শুরু করার আগেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন জেটলি।
আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী পল্লম রাজুকে লেখা চিঠিতে জেটলি দাবি করেন, তিন বছরের পরিবর্তে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম চালু করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সব পক্ষের ঐকমত্য থাকা দরকার। কিন্তু যথেষ্ট আলোচনা না করেই ওই পাঠ্যক্রম চালু করার বিষয়ে অযথা তাড়াহুড়ো দেখিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যসভার বিরোধী দল নেতার যুক্তি, গোটা দেশে কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ওই পাঠ্যক্রম চালু করায় সার্বিক ভাবে শিক্ষার মানে কোনও হেরফের হবে না। উল্টে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে একটি বিভাজন সৃষ্টি হবে, যা কাম্য নয়।
তাঁর বক্তব্য মূলত চারটি প্রথমত, এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যথেষ্ট বিতর্ক ও আলোচনা হয়নি। দ্বিতীয়ত, চার বছরের পাঠ্যক্রমে যে নতুন বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেগুলি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত আলোচনা করার দরকার মনে করেননি কর্তৃপক্ষ। তৃতীয়ত, ভারতের মতো দেশে এক বছরের পাঠ্যক্রমের মেয়াদ বাড়ালে যে আর্থিক বোঝা ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের উপর চাপবে সেই বিষয়টিকেও মাথায় রাখা হয়নি। চতুর্থত, দেশের মধ্যে কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়েই কেন ওই পাঠ্যক্রম চালু করা হবে তা নিয়েও সদুত্তর দিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক।
চিঠিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনড় মনোভাবকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন জেটলি। তাঁর বক্তব্য, অতীতে দেখা গিয়েছে কোনও পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সাধারণত শিক্ষাবিদদের মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ বিরোধিতা করা সত্ত্বেও তাঁদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন বোধ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.