তিন বছরে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের (আরআইএল) বার্ষিক সাধারণ সভায় এই বিপুল লগ্নি-পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। যা ছাপিয়ে গেল আগের বছরের সাধারণ সভায় ঘোষিত লগ্নি প্রস্তাবকেও। সে বার ৫ বছরে এক লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির কথা বলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, কৃষ্ণা গোদাবরী অববাহিকা বা কেজি বেসিনে তলানিতে ঠেকা গ্যাস উৎপাদন পুষিয়ে দিতেই এ বার পেট্রোকেম, টেলিকম ও রিটেল ব্যবসাকে সামনে রেখে মুনাফা বাড়ানোর বড়সড় ছক কষেছেন তিনি। যেখানে তাঁর অন্যতম বড় বাজি ফোর-জি পরিষেবা তো আছেই। সেই সঙ্গে শেল গ্যাস ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি কথা দিয়েছেন খুচরো ব্যবসা থেকে আয় ৪ গুণ বাড়ানোর। |
সাম্প্রতিক কালে সংস্থার কেজি বেসিনে গ্যাস উৎপাদন সর্বকালীন তলানি ছুঁয়েছে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের। এই পরিস্থিতিতে এ দিন মুকেশ পেশ করেছেন ব্যবসা বিস্তারে সংস্থার একগুচ্ছ পরিকল্পনা। যার অঙ্গ নতুন পেট্রোকেমিক্যাল কারখানা তৈরি, তেল-গ্যাস উৎপাদন ব্যবসা চাঙ্গা করতে কূপ খননের সংখ্যা বাড়ানো, দেশ জুড়ে আরও খুচরো বিপণি খোলা ও উঁচু গতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করা।
এ দিনের সভায় মা কোকিলাবেন, স্ত্রী নীতা ও ছেলে-মেয়েদের উপস্থিতিতে মুকেশের দাবি, “এই প্রতিশ্রুতি লগ্নি-ইতিহাসে বৃহত্তম। খনন ও উৎপাদন, ফোর-জি, তেল শোধন, পেট্রোকেম, খুচরো ব্যবসা ৫ ক্ষেত্রেই বড় মাপের লগ্নি করছি।” মুকেশ আগামী ৩-৪ বছরে খুচরো ব্যবসায় বার্ষিক আয় ৫০% বৃদ্ধি ও বিক্রি ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন। টেলিকম সংস্থা রিলায়্যান্স জিও ইনফোকম ঠিক কবে ফোর-জি পরিষেবা চালু করবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মুকেশ। তবে ভারতে ডিজিটাল পরিষেবার বাজারে অগাধ আস্থা রেখে জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে ২০১৪-র মধ্যেই কর্মী সংখ্যা ১০ হাজারে নিয়ে যাবেন। বিশ্ব মানের ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও ডিজিটাল পরিষেবা আনার ব্যাপারে রিলায়্যান্সের উদ্যোগে আস্থা রাখার আর্জিও শেয়ারহোল্ডারদের কাছে জানান মুকেশ। |