নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
নতুন কমিশনার নিয়োগ না হলে আসানসোল পুরসভার কোনও অধিবেশনে যোগ দেবে না কংগ্রেস। সম্প্রতি পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ দলের ১২ জন কাউন্সিলর প্রকাশ্যে এই ঘোষণা করেন। তবে এই বিষয়কে আমল দিতে নারাজ মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
মেয়র পারিষদ তথা জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক রবিউল ইসলামের অভিযোগ, “আসানসোল পুরবোর্ড অগণতান্ত্রিক ভাবে চলছে। বোর্ডের অধিবেশনে আমাদের ও বিরোধী কাউন্সিলরদের কোনও কথা না শুনেই তৃণমূল একতরফা ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পাশ করাচ্ছে। এমন ঘটনা অপমানজনক।” তাঁর আরও বক্তব্য, এর ফলেই পুরসভায় আর্থিক তছরূপের ঘটনা ঘটেছে। তাতে মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রছন্ন মদত রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সম্প্রতি পুরসভার পরিবেশ আধিকারিক তাপস ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা। রবিউলবাবু বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, মেয়রের সমর্থন ছাড়া এমন ঘটনা ঘটতেই পারে না। সিবিআই তদন্ত হলেই সব প্রকাশ্যে আসবে।” ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, পুর কমিশনারের উপস্থিতিতে অনৈতিক কাজ করতে পারবেন না মেয়র ও তাঁর কাউন্সিলরেরা।
তবে এখনই পুরবোর্ড থেকে বেরিয়ে আসছে কংগ্রেস। অমরনাথবাবুর বক্তব্য, পুরবোর্ড থেকে এখনই বেরিয়ে আসছেন না তাঁরা। কংগ্রেস সমর্থন তুলে নিলেই সংখ্যালঘু হয়ে যাবে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে পুরবোর্ড ভেঙে যাবে। সেক্ষেত্রে নতুন একটি পুর নির্বাচনের মুখে পড়বে বোর্ড। ফলে উন্নয়নের গতিও থমকে যাবে। এই অবস্থায় আসানসোলের নাগরিকদের উন্নয়নের প্রক্রিয়া থেকে দুরে রাখতে তাঁরা চান না। তাই পুরবোর্ড থেকে বেরিয়ে আসার পথে না গিয়ে নতুন পুর-কমিশনার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বোর্ড অধিবেশনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তই বহাল রাখছেন তাঁরা। তিনি বলেন, “মেয়র একাই আসানসোলের পুরবোর্ড চালিয়ে নিতে পারবেন মনে করলে আমাদের বোর্ড থেকে বের করে দিন।”
এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রবাবু বলেন, “ক্ষমতা থাকলে কংগ্রেস জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাক। আমরা বুঝে নেব।” |