শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় গ্রামের এক বালিকার গলায় ব্লেড চালিয়ে দিয়েছিল এক যুবক। তা দেখে ফেলায় ওই যুবকের হাতে প্রাণ গেল এক বালকের। মঙ্গলবার বাসন্তীর হোগলডুরি এলাকার ঘটনা। নিহতের নাম নুর হোসেন (১২)। অভিযুক্ত নুরে আলম নামে আঠারো বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃত অপরাধের কথা কবুল করেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ন’বছরের ওই বালিকা গ্রামের আলপথ ধরে একাই দোকানে যাচ্ছিল। নির্জন রাস্তায় নুরে আলম তার পিছু নেয়। অভিযোগ, এক ফাঁকে আলপথের উপরেই নুরে আলম ওই বালিকার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। বালিকা চিৎকার করায় নুরে আলম তার গলায় ব্লেড চালিয়ে দেয়। পরে ওই বালিকাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করান। তার পরিবারের লোকজন নুরে আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানি এবং বালিকাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিকে, ওই সকালে মাঠে গরু চরাতে যায় নুর হোসেন। সন্ধ্যায় ওই আলপথের কাছের একটি ডোবা থেকে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো দেহ মেলে। তার পরিবারের লোকজন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। ওই রাতেই শ্লীলতাহানি এবং বালিকাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে নুরে আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বুধবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ধৃত নুরে আলম সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বীকার করে, ওই বালিকার গলায় ব্লেড চালাতে দেখে ফেলেছিল নুর হোসেন। সে যাতে ওই কথা কাউকে না বলে তাই গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে তাকে খুন করে দেহটি ডোবায় ফেলে দেয় সে। |