স্নানে গিয়ে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুকন্যার
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
‘হাপা’য় (পুকুরের মধ্যে থাকা গর্ত বিশেষ) স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল সমবয়সী তিন বালিকার। বুধবার ঘটনাটি ঘটে দুবরাজপুরের রামপুর মালপাড়ায়। মৃত তিন শিশুকন্যার নাম বিউটি মাল, শিল্পী মাল এবং গায়েত্রী বাদ্যকর। তিন জনেরই বয়স ৭-৮ বছর হবে। তারা গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে পড়ত। স্বাভাবিক ভাবে তিন শিশুকন্যার মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।
বিউটির মা প্রভাতী মাল, শিল্পীর বাবা বিনয় মাল এবং গায়েত্রীর মা বন্দনা বাদ্যকরদের কথায়, “সকালে তিন বন্ধু এক সঙ্গেই খেলছিল। পড়ে কখন যে ওরা স্নানে গিয়েছে কেউ জানি না।” |
শোকার্ত পরিবার। —নিজস্ব চিত্র |
বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ যখন খাবার সময় হয়ছে তখন তিন পরিবারের সদস্যরা শিশুদের খোঁজ শুরু করেন। শিশুদের খোঁজ শুরু করেন পাড়ার বাসিন্দারও। স্নানে নেমে তলিয়ে যায়নি তো! সন্দেহ হতেই গ্রামের জমিদারের পুকুর বা বড়বাঁধ বলে পরিচিত ওই পুকুরে নেমে প্রথম বোন গায়েত্রীর দেহের খোঁজ পায় ভাই রক্ষাকর। তার পরেই গ্রামবাসী তিনজনের দেহ উদ্ধার করেন। দুপুর ১টা নাগাদ ওই গ্রামে পৌঁছে দেখা গেল, তিনটি পরিবারের ঘরের সামনে জড়ো হওয়া মানুষজনের ভিতর থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছিল। গ্রামবাসীরা জানালেন, গ্রীষ্মে এলাকার পুকুরগুলি শুকিয়ে যায়। তাই জলসঙ্কট এড়াতে বছর দু’য়েক আগে সরকারি খরচে দুবরাজপুরের লক্ষীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের ওই বড় পুকুরটিতে ২০/৮ ফুটের ‘হাপা’ তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পুকুর বেশ খানিকটা ভরে যাওয়ায় যেই ‘হাপা’ ঢেকে গিয়েছে। জলে নেমে সেটা বুঝতে না পেরেই খুব সম্ভবত মেয়েগুলি তলিয়ে যায়।
অন্য দিকে, এ দিন দুপুরে মাড়গ্রামের দুনিগ্রামের বাসিন্দা ষষ্ঠী মণ্ডল (৩৬) মাঠ থেকে ধান নিয়ে ফিরছিলেন। হঠাৎ পা পিছলে তিনি একটি পুকুরে পড়ে যান। প্রায় ৪০ মিনিট পরে এলাকার বাসিন্দারা মৃত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন। |