বার্সেলোনার হয়ে একটাও ম্যাচ না খেলেই ফুটবল ইতিহাসে ঢুকে পড়ল তাঁর নাম। তিনি নেইমার আপাতত রোনাল্ডো, জিদান, ফিগো, কাকা, ইব্রাহিমোভিচ, তোরেস, হাল্ক-এর পরে বিশ্বের দামী ফুটবলারদের তালিকায় অষ্টম স্থানে চলে এলেন। বার্সেলোনা ক্লাবে পা ফেলার দিনই। বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে দামী সই-ও হলেন নেইমারেরই। ২০০৯-এ ইব্রাহিমোভিচকে বার্সা সই করিয়েছিল ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে। সেখানে নেইমারের দাম উঠল ৫৭ মিলিয়ন ইউরো। |
সোমবার রোদ ঝলমলে ন্যু কাম্পে পঞ্চাশ হাজার সমর্থকের সামনে বার্সার জার্সি গায়ে মাঠের চার দিক হাঁটেন মেসির ক্লাবের নতুন ব্রাজিলীয় মহাতারকা। “আমার স্বপ্নই ছিল এই ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপানো,” সমর্থকদের সামনে বলেন নেইমার। তাঁকে সই করানোর পরে স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমে জল্পনা ওঠে যে, ভবিষ্যতে মেসির জায়গায় খেলার জন্যই এসেছেন নেইমার। কিন্তু মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, তাঁকে সাহায্য করতেই এসেছেন নেইমার। পাঁচ বছরের চুক্তি সই করে সেই কথাই জানান নেইমার। “আমি বার্সেলোনাকে সাহায্য করতে এসেছি। আমি নিজের দিক দিয়ে সব রকম ভাবে সাহায্য করব যাতে আমার ক্লাব সতীর্থ মেসি বিশ্বের সেরা প্লেয়ার হয়ে ভবিষ্যতেও বছরের পর বছর বিরাজ করতে পারে।” সঙ্গে নেইমার যোগ করেন, “ছোটবেলা থেকে যাদের দেখছি তাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি উৎফুল্ল। অনেক কিছু শিখতে পারব মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তাদের থেকে।”
সম্ভবত বার্সেলোনা জার্সিতে নেইমারের অভিষেক ঘটছে তাঁর সদ্য ছেড়ে আসা ক্লাব স্যান্টোসের বিরুদ্ধেই। অগস্টে একটি প্রীতি ম্যাচে।
|