ন্যু কাম্পে সমাগম হয়তো অর্ধ লক্ষের
মেসির ক্লাবে আজ পা পড়ছে নেইমারের
বার্সেলোনার পরবর্তী মেসি নাকি তিনি-ই! এখানেই শেষ নয়। মেসি-রোনাল্ডোর পাশাপাশি স্প্যানিশ ফুটবলে নবতম আকর্ষণ হতে চলেছেন তিনি-ই! পেলের দেশের নেইমার ডি’সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র।
রবিবারই গভীর রাতে নেইমারের ব্রাজিলের সঙ্গে মারাকানা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড খেলছে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। তার কিছুক্ষণ আগেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের এহেন ভবিষ্যদ্বাণী। “চেলসিতে অস্কার, ডেভিড লুইজ, র্যামিরেজদের কাছ থেকে অনেক কথা শুনেছি নেইমার সম্পর্কে। ও দুর্দান্ত ফুটবলার। আশা করি, মেসি-রোনাল্ডোদের মতোই ইউরোপে সাড়া ফেলবে নেইমার।”
সোমবারই বার্সেলোনায় পা পড়তে চলেছে ব্রাজিলীয় ফুটবলের নয়া হার্টথ্রব নেইমারের। তার ঠিক আগে ল্যাম্পার্ডের শংসাপত্রে সাজসাজ রব পড়ে গিয়েছে ন্যু কাম্প স্টেডিয়ামে। বার্সা সমর্থকরা মুখিয়ে রয়েছেন কাতালান ক্লাবে ব্রাজিলীয় তারকাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। রবিবারেই বার্সেলোনার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে, নেইমার-বরণের নির্ঘন্ট। জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ড ম্যাচ খেলে উঠেই সোমবার দুপুরের মধ্যে নেইমার পৌঁছে যাবেন ন্যু কাম্পে।

তার পরেই সাংবাদিক-সমর্থকদের সামনে তাঁর ফোটোসেশন। সব শেষে ক্লাবে বসে নেইমার-বার্সার পাঁচ বছরের চুক্তিতে সইসাবুদ। বিকেল পাঁচটায় নেইমারের শারীরিক পরীক্ষার পালা চোকানোর পর তাঁর সাক্ষাৎ-পর্ব ক্লাব প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রোসেল এবং বার্সেলোনার স্পোর্টস ডিরেক্টর জুবিজারেতার সঙ্গে। সন্ধ্যা সাতটায় সাংবাদিক সম্মেলন। বার্সা কর্তৃপক্ষের অনুমান সাংবাদিক-সদস্য-সমর্থক মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ফুটবল জনতার সমাগম হবে লিও মেসির ক্লাবে নেইমারের আগমনের দিন।
যা জেনেই হয়তো মারাকানায় ল্যাম্পার্ডদের বিরুদ্ধে নামার আগেই রিও থেকে নেইমারের প্রতিক্রিয়া, “দারুণ লাগছে। বার্সায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাই। মরসুমের শুরু থেকেই সেরা ফর্মে মেসির সঙ্গে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। কারণ মেসির পাশে খেলাটাই একটা আলাদা সম্মান।”
মেসির পাশে নেইমার। বার্সার অ্যাটাকিং ফোর্সে ব্রাজিল-আর্জেন্তিনার দুই বিশ্ববন্দিত স্ট্রাইকারের যুগলবন্দি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা আরও প্রবল হয়েছে নেইমারের সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া ক্লাব স্যান্টোসের ফিজিওলজিস্ট লুইস ফার্নান্দো ডি বারোসের একটি সাম্প্রতিক তথ্যে। যেখানে বলা হয়েছে, ১.৭৪ মিটার উচ্চতার নেইমারের ওজন মোটে ৬০ কেজি। ফলে চোট-আঘাতের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। আর ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলকে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে নেইমারের ব্রহ্মাস্ত্র তাঁর গতি। সেটা কেমন? বারোসের ব্লগ জানাচ্ছে, “মাস খানেক আগে সাও পাওলোর বিরুদ্ধে পাউলিস্তা লিগে নেইমারের এক-একটা স্প্রিন্টের গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৪.৭ কিলোমিটার। উসেইন বোল্টের চেয়ে মোটে দশ কম!” আসন্ন মরসুমে তাই নেইমার-মেসি জুটির ঝড় ইউরোপীয় টুর্নামেন্টে ওঠাটাই হয়তো খুব স্বাভাবিক।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.