জোর টক্কর গোয়ায়
বিরোধীদের চাপে রাখতে চান মোদী
গোয়ায় বিজেপি-র কর্মসমিতির বৈঠকের আগে দলে তাঁর বিরোধীদের উপর পাল্টা চাপ বাড়ানোর কৌশল নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।
ক’দিন আগেই লালকৃষ্ণ আডবাণী মোদীর সমালোচনা করে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। রাজনাথ সিংহরা বুঝতে পারছেন, এর পর গোয়ার বৈঠকে মোদী সম্পর্কে বড়সড় কোনও ঘোষণা করা কঠিন। অথচ মোদীকে অন্তত প্রচার কমিটির প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চাপ রয়েছে। তা নিয়ে রাজনাথ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করে দিয়েছেন। তবে ঐকমত্য হয়নি। গোয়ায় এই প্রসঙ্গ উঠলে মোদী-বিরোধীরা যাতে বেশি সক্রিয় হতে না পারেন, তাই মোদী পাল্টা চাপ বাড়ানোর কৌশল নিচ্ছেন।
কাল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বৈঠকে যোগ দিতে মোদী রাতেই দিল্লি এসেছেন। কৌশল রচনার জন্য দলের কিছু নেতার সঙ্গে পৃথক বৈঠকও করেছেন। মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদ-প্রার্থী ঘোষণা করতে কর্নাটকের বিজেপি নেতারা প্রস্তাব পাশ করেছেন। গোয়ায় অন্য রাজ্যের প্রতিনিধিরাও যাতে একই দাবি তোলেন, সে চেষ্টাও করছেন মোদী। অরুণ জেটলির মতো নেতাও বলেছেন, “দেশের যেখানেই যাই, দলের নেতা-কর্মীদের থেকে নরেন্দ্র মোদীর নাম শুনি। একটা বিষয় স্পষ্ট, কর্মীদের মধ্যে মোদীকে নিয়ে আবেগ তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশে নির্বাচনে শরিক দল, সামাজিক সমীকরণের ভূমিকা রয়েছে বটে, কিন্তু ব্যক্তিত্বের গুরুত্বও কম নয়।” বিজেপির এক নেতার কথায়, “গোয়ার বৈঠকে যদি মোদীকে প্রচার কমিটিরও প্রধান না করা যায়, তা হলে বলতে হবে সময় নষ্ট ছাড়া আমরা কিছুই করছি না।” আডবাণীও বসে নেই। মোদীকে রোখার জন্য সম্প্রতি নিতিন গডকড়ীকে মহারাষ্ট্রে রাজ্য বিধানসভা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু গডকড়ী দিল্লিতে এসে প্রস্তাব খারিজ করে বলেন, “আমি লোকসভার লড়াই নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যে বিবাদে জড়াতে চাই না।”
কাল রাজনাথ সিংহের হস্তক্ষেপে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান সাফাই দিয়ে বলেন, মোদীই সেরা। কিন্তু এখনও আডবাণী মুখ খোলেননি। আডবাণী আজ একটি ব্লগ লিখলেও, তাতে এই বিষয়ের কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু অরুণ জেটলি আজ একটি নিবন্ধ লিখেছেন, সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, মোদীকে সিবিআই ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নিশানা করতে চাইছে। জেটলি অবশ্য আজ মোদী-আডবাণী বিবাদকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমার মতো অনেক নেতাই আডবাণীর হাতে গড়া। তাঁর কাছে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আডবাণীর করা সমালোচনা অনেক সময়েই আত্মসমালোচনা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর সেই অধিকারও রয়েছে। আবার এ-ও ঠিক, নরেন্দ্র মোদী একটি উন্নত রাজ্য হাতে পেয়ে সেটিকে যে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, সে কাজও অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.