|
|
|
|
বিতর্ক এড়াতে মরিয়া বিজেপি |
মোদীই এক নম্বর, দলের নির্দেশে বয়ান আডবাণী-ঘনিষ্ঠ শিবরাজের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রকাশ্য বিরোধিতা সামাল দিতে আসরে নামলেন নরেন্দ্র মোদী নিজেই। আর তার পরেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘এক নম্বর’ বলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন আডবাণীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিবরাজ সিংহ চৌহান।
দু’দিন আগে মধ্যপ্রদেশ সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের প্রশংসা করতে গিয়ে মোদীর কৃতিত্বকে কিছুটা খাটো করে দেখান আডবাণী। বিষয়টি নিয়ে ঝড় ওঠে বিজেপির অন্দরে। সঙ্ঘ পরিবার ও বিজেপির একটি বড় অংশ যখন মোদীকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার হতে চাইছেন, তখন দলের শীর্ষ স্তরের বিরোধ অহেতুক নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করছেন দলের নেতারা। মোদীর তরফে গতকালই বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহকে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করা হয়। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজনাথ এ নিয়ে কথা বলেন আডবাণীর সঙ্গে। পরে শিবরাজ সিংহ চৌহানকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে বলেন রাজনাথ। |
|
তার পরেই আজ শিবরাজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “সে দিন আডবাণী শুধু আমার নয়, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও প্রশংসা করেন। বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরই তারিফ করেন। নরেন্দ্র মোদী আমার ‘সিনিয়র।’ তিনিই এক নম্বর। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী দু’নম্বরে। আমি সেই অর্থে তিন নম্বরে।” আডবাণী-মোদীর দ্বন্দ্বকে লঘু করে দেখাতে গিয়ে রাজনাথ বলেন, “আডবাণীর বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশে সবথেকে জনপ্রিয় নেতা।”
এই সপ্তাহের শেষেই গোয়ায় দলের কর্মসমিতির বৈঠক। বিজেপিতে মোদী-পন্থী নেতারা চাইছেন, লোকসভা নির্বাচনে কোন পথে দলকে লড়তে হবে, তার কৌশল এই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়ে যাক। এমনিতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আর সময় নষ্ট করে লাভ নেই। আর এই কৌশল রচনা করতে হলে মোদীকে বাদ দিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। বিজেপির এই নেতাদের বক্তব্য, গোয়ার বৈঠকে মোদীর বিষয়ে যাতে কোনও সিদ্ধান্ত না হয়, তা সুনিশ্চিত করতেই আডবাণী প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়ে রাখলেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আডবাণী মধ্যপ্রদেশের কোনও আসন থেকে লড়বার কথা ভাবছেন। আর সে জন্যই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এত প্রশংসা করেছেন তিনি। এ বছরের শেষে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে শিবরাজ ফের জিতে এলে তিনিও মোদীর মতো তৃতীয় বার জয়ের শিরোপা পাবেন। বিজেপির একাংশের বক্তব্য, সে কথা মাথায় রেখেই শিবরাজকে মোদীর সমকক্ষ বলে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নিজের রাস্তা সাফ করছেন আডবাণী।
কিন্তু আরএসএস ও বিজেপির নেতাদের মতে, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে মোদী ছাড়া গতি নেই। তাই রাজনাথ চাইছেন, গোয়ার বৈঠকেই অন্তত এই সিদ্ধান্ত হয়ে যাক যে, লোকসভা ভোটের আগেই দল কোনও মুখ তুলে ধরে এগোবে, নাকি ভোটের পর তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আডবাণীর মতো নেতারা অতীতের সব ভোটেই কোনও না কোনও মুখকে তুলে ধরে এগোনোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের সময়েও উমা ভারতীকে সামনে রেখে এগোনোর কথা তিনি বলেছিলেন। কিন্তু এ বারে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি করেছেন আডবাণী ঘনিষ্ঠ সুষমা স্বরাজ। তাঁর বক্তব্য, উপযুক্ত সময়ে বিষয়টি স্থির হবে। ফলে গোয়ার বৈঠকে রাজনাথ কতটা নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন, সেটাই দেখার।
|
পুরনো খবর: আহামরি কিছু করেননি মোদী, দাবি আডবাণীর |
|
|
|
|
|