পানীয় জল সঙ্কটের সমাধান, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি-সহ আরও প্রায় ১৫টি পুর পরিষেবার দাবিতে যুব ফেডারেশনের সদস্যেরা মঙ্গলবার কুলটি পুরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন। পুরপ্রধানকে একটি স্মারকলিপিও দেন তারা। নিকাশি ও পানীয় জল সংক্রান্ত দাবিগুলির দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পুরপ্রধান তথা বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
দাবিগুলির সমর্থনে গত ৩১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত কুলটির ৩৫টি ওয়ার্ডে পদযাত্রা করেন যুব ফেডারেশনের কর্মীরা। মঙ্গলবার সেই পদযাত্রা শেষ হয় কুলটি পুরসভায়। এ দিন ৩৫টি ওয়ার্ড থেকে হাজারেরও বেশি যুব কর্মী পুরসভায় বিক্ষোভ দেখান। অবস্থানে আসানসোলের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী দাবি করেন, তিনি যখন এডিডিএ-র চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন কুলটির জন্য বরাদ্দ ১৩৩ কোটি টাকার জলপ্রকল্পটি এডিডিএ-র কারিগরি পরিকাঠামোর মাধ্যমে তৈরি করে দিতে চেয়েছিলেন। বংশগোপালবাবুর অভিযোগ, সেই সময় কুলটি পুর কর্তৃপক্ষ এডিডিএ-র ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আদালতে মামলা করে। ফলে প্রকল্পটি শুরু হতে সাত বছর দেরি হয়। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এডিডিএ-কে ওই প্রকল্পটি বানানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তটিকে সমর্থন করার কথা বলেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, এত বড় একটি জলপ্রকল্প তৈরি করার মতো কারিগরি পরিকাঠামো কুলটি পুরসভার নেই। এই পরিকাঠামো রয়েছে কেবল এডিডিএ-রই, এমনই দাবি করেন তিনি।
যুব ফেডারেশনের দেওয়া স্মারকলিপি প্রসঙ্গে উজ্জ্বলবাবু বলেন, “আমি মেনে নিচ্ছি যে পানীয় জল ও নিকাশির সমস্যা রয়েছে। এই পরিষেবাগুলি স্বাভাবিক করতে পুর কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। পানীয় জলপ্রকল্পের কাজ যতদ্রুত সম্ভব শেষ করার জন্য যৌথ ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে এডিডিএ ও পুরসভা।” তিনি আরও জানান, কুলটি পুরসভার চিনাকুড়ি এলাকার ১২ থেকে ১৬ নম্বর পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ার্ডের জন্য পৃথক একটি জলপ্রকল্প তৈরি করার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পটির সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। তাঁর দাবি, প্রকল্প গড়ার প্রাথমিক কাজকর্মও শুরু হয়ে গিয়েছে। |