দেড় বছর আগে শিল্যানাস হলেও এ যাবৎ কাজ শুরু হয়নি আলিপুরদুয়ারে বহুমুখি হিমঘরের। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে ৮৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে হিমঘরের শিলান্যাস হয়। কাজ না হওয়ায় আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমারহাটে হিমঘর তৈরির জমি দ্রুত কৃষকদের ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে কংগ্রেস। আলিপুরদুয়ারের নিয়ন্ত্রত বাজার সমিতির সচিব সন্দীপন রায় বলেন, “২০১০-১১ সালে কুমারগ্রাম ব্লকে বহুমুখি হিমঘরের জন্য প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। হিমঘরের জন্য দরপত্র ডাকে রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর। তবে সম্প্রতি বাজার দর বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদার কাজ শুরু আগে ওই অর্থ বাড়ানোর দাবি করেছেন। বিষয়টি উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |
বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “আলিপুরদুয়ারে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নানা মরসুমি সবজি ভিনরাজ্য যায়। সবজি বেশিদিন রাখা যায় না বলে তা ফড়েদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে কৃষকরা বাধ্য হন। সে কারণেই এই হিমঘর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। দ্রুত কাজ শুরু করলে কৃষকরা লাভবান হবেন।” কৃষক অনন্ত রায়, সৈদুল হক বলেন, “পটল, ঝিঙে, বেগুন, করলা, টমেটো বিহার, অসম আর ভুটান যায়। হিমঘর হলে সেখানে সবজি মজুত রাখা যেত প্রয়োজন মত সবজি ভাল দাম পেলে বিক্রি করা যেত। মজুত রাখার ব্যবস্থা না থাকায় তা অল্প দামে ফড়েদের কাছে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।”
শালকুমার হাট-২ গ্রামপঞ্চায়েতর প্রধান কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “হিমঘর তৈরির জন্য কৃষকরা অনেক কম দামে সরকারকে জমি দিয়েছে। এলাকার কৃষকেরা সুবিধের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেন। বছর দেড়েক পরেও কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ হয়েছি। শীঘ্র কোনও সিদ্ধান্ত না হলে ওই জমি ফেরত দেওয়ার দাবি তোলা হবে।”
|