|
|
|
|
মনোনয়ন ঘিরে গোলমাল |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মনোনয়ন-পর্ব ঘিরে খুচরো গোলমাল চলছেই। শুক্রবার রাতে পটাশপুর ২ ব্লকের আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুই সিপিএম নেতাকে মারধর ও ঘরে আটকে রেখে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির শাসক দলের দিকে। নির্বাচনে না দাঁড়ালেও গোপালপুরের বাসিন্দা প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সদস্য বাদল শাসমল ও সণ্ডলপুরের বাসিন্দা সিপিএমের আড়গোয়াল লোকাল কমিটির সদস্য চিত্তরঞ্জন শাসমলের উপর আক্রমণ হয়। সিপিএমের প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ দাস মহাপাত্রের অভিযোগ, আড়গোয়াল পঞ্চায়েতের লাওয়া গ্রামে লোকাল কমিটির সদস্য বনমালী দাস মহাপাত্রের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করেন তৃণমূল সমর্থকরা। পটাশপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ও সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্য সবিতা দে’র বাড়ি গিয়েও মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ছোট উদয়পুরের বাসিন্দা তথা সিপিএমের জেলা পরিষদের প্রার্থী মন্টু দাস মহাপাত্র ও সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আড়গোয়ালের বাসিন্দা অনিল দাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস বলেন, “সিপিএম অতীতের অপরাধবোধ থেকেই মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারছে না। তাই অপপ্রচার করছে।”
দাঁতন ২ ব্লকের তালদা পঞ্চায়েতের কেশরম্ভা গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু দাস পঞ্চায়েতে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন। দাঁতন ২ জোনাল কমিটির সম্পাদক আবদুল রহিমের অভিযোগ, সেই কারণে তাঁর স্বামী নকুলচন্দ্র দাসকে রবিবার সকালে মারধর করা হয়। দাঁতন থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিত্সার ব্যবস্থা করে। তৃণমূল অবশ্য সব ক’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
পুরনো খবর: নন্দীগ্রামে মার খাচ্ছে সিপিআই, কংগ্রেস |
|
|
|
|
|