শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় জড়িত সন্দেহে এক সহকারী বাস্তুকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে অসম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত সপ্তর্ষি পালের বাড়ি আলিপুরদুয়ারে।
দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ মৃগাঙ্কমৌলি সরকার নামে আরও এক সহকারী বাস্তুকার এবং কলকাতার এক ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুঁজছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ২০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে, যার মধ্যে ওই দুই বাস্তুকার এবং ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধারের অ্যাকাউন্টও রয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন বলেন, “ধৃত বাস্তুকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে।”
এসজেডিএ-র অন্দরে বহু কোটির আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কিছু দিন ধরে তদন্ত চলছিল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত ১৬ মে মৃগাঙ্কবাবু, সপ্তর্ষিবাবু এবং ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে এসজেডিএ-র কার্যনির্বাহী আধিকারিক শরদ দ্বিবেদী প্রধাননগর থানায় অভিযোগ জানান। অবশ্য প্রথম থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠছিল। এ দিন শিলিগুড়ি আদালত ধৃতকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতের পরিবারের অবশ্য দাবি, সপ্তর্ষিকে ফাঁসানো হয়েছে।
এসজেডিএ-র প্রকল্পে বাগডোগরা, মালবাজার ও ময়নাগুড়িতে তিনটি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো এবং মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি প্রকল্পের (এসটিপি-২, এসটিপি-৩) কাজে মোট ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বসুনিয়ার দাবি, “এসটিপি-২ এবং এসটিপি-৩ প্রকল্পের সরঞ্জাম কেনা এবং কাজ একাংশ হয়ে গিয়েছে বলে সপ্তর্ষিবাবু অনুমোদন করায় গত ৬ মার্চ ঠিকাদার সংস্থাকে ১৭ কোটি ৬ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। অথচ, তদন্তে জানা গিয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ নেই, কাজও হয়নি।” |