ফরাক্কা ব্যরেজ প্রকল্পের গঙ্গা-ভাঙন রোধের কাজে বোল্ডার সরবরাহের বরাত নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল সংঘর্ষে মারা গেলেন তিন জন।
বোমা, ওয়ান শটার থেকে মহুমুর্হ গুলি কখনও বা তির, শনিবার সকাল থেকে বৈষ্ণবনগরের বিহারিটোলা গ্রামে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান আক্কেল শেখ (৫০), রসিদ শেখ (৩২) এবং সেন্টু শেখ (৩২)। মৃতদের মধ্যে ২ জন তাঁদের সমর্থক বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। গুরুতর জখম অন্তত ১১ জন। তাঁদের মালদহ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আশপাশের গ্রামগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে, ৩ টি মাসকেট, ২৬ টি তির, ৫ টি ধনুক এবং অন্তত ২৫ টি তাজা বোমা। তবে গণ্ডগোল থিতিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় লক্ষীপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান ফেরাজুল হক বলেন, “নদী ভাঙনের কাজ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই দু-পক্ষের গোলমাল চলছিল। এ দিন সকালে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে বৈষ্ণবনগর থানায় একাধিকবার ফোন করলেও পুলিশের আর সময় হয়নি!” বৈষ্ণবনগরের কংগ্রেস বিধায়ক ঈশাক খান চৌধুরীও দাবি করেছেন, “পুলিশ ঠিক সময়ে পৌঁছলে প্রাণহানি এড়ানো যেত।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যদি তদন্তে পুলিশের গাফিলতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “থানায় বসেই ঠিক হয় দু-পক্ষই ভাঙন রোধের কাজ করবে। কিন্তু কংগ্রেসের লোকজন বন্দুক, বোমা নিয়ে ভাঙন রোধের কাজ করতে যান। আমাদের কর্মী সমর্থকরা বাধা দিলে ওরা হামলা চালায়। আমাদের দলের দুই কর্মী মারা গিয়েছেন।” |