|
|
|
|
মোড়ক পাল্টে গুটখা বিক্রির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গুটখার বিক্রি। কিন্তু অন্য মোড়কে সেই গুটখা বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ করলেন তামাক-বিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, গুটখা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি একই নামে পানমশলা বিক্রি করছে। এবং ওই পানমশলার প্যাকেটের ভিতরে গুটখা বিক্রি করা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য কোনও নজরদার দল নেই রাজ্যে।
তামাক-বিরোধী প্রচারকারী একটি সংগঠনের কর্তা নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, গুটখা নিষিদ্ধ হলেও পানমশলা জাতীয় পণ্য নিষিদ্ধ নয়। সেই জন্যই অনেক সময় গুটখা বা তামাকজাত পণ্য বিক্রয়কারী সংস্থাগুলি পানমশলার মোড়কে গুটখা ব্যবসার প্রচার চালায়। সিগারেটের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই কৌশল নেয় তারা। নির্মাল্যবাবু বলেন, “এই ধরনের অনেক সংস্থারই জামাকাপড় বা অন্য পণ্যের ব্যবসা থাকে। তারা একই নামে সেই জিনিসের বিজ্ঞাপন করলে আইনত কিছু বলার থাকে না।” |
|
কিন্তু এ রাজ্যে গুটখা নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও যে-ভাবে পানমশলার বিক্রি চলছে, তাতে সরকার কিছু করবে কি? রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “গুটখা নিষিদ্ধ করেছে অর্থ দফতর। এ বিষয়টি তারাই দেখবে।” অর্থ দফতরের এক কর্তা জানান, এ ব্যাপারে শীঘ্রই একটি দল গড়া হবে। জেলা ও মহকুমা স্তরেও নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনের দিকটিও। তাঁরা জানান, সিগারেট-সহ তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনে কিছ বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু সেগুলিকে আমল না-দিয়েই দিব্যি প্রচার চালায় সংস্থাগুলি। ইদানীং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও সংস্থাগুলি নিজেদের সামাজিক প্রকল্পের নাম করে তামাকজাত পণ্যের প্রচার চালাচ্ছে বলে স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ। এর ফলে বকলমে সিগারেট বা তামাকজাত পণ্যের প্রচার চলছে বলেই তাঁদের দাবি।
গুটখার পাশাপাশি এ দিনের অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে ‘প্যাসিভ স্মোকিং’ বা পরোক্ষ ধূমপানের প্রসঙ্গও। চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র জানান, এক ধূমপায়ী ১৫ শতাংশ ধোঁয়া নিজে টেনে নেন। বাকি ৮৫ শতাংশ ছেড়ে দেন বাতাসে। তা আশপাশের লোকেদের ক্ষতি করে। প্রতি বছর হাজার তিনেক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের জেরে মারা যান বলে জানান সুব্রতবাবু।
|
পুরনো খবর: গুটখায় নিষেধাজ্ঞা, খুশি চিকিৎসকেরা |
|
|
|
|
|