এ বার কংগ্রেসের প্রার্থীদের ভোটে না দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোতুলপুরে দু’টি জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে শুক্রবার বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসককে এসএমএস মারফৎ অভিযোগ জানান স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ। মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অদীপকুমার রায় বলেন, “বিধায়কের এসএমএস পেয়েছি। পুলিশকে দেখতে বলেছি।”
কোতুলপুরের সাবারচক এলাকার কংগ্রেস প্রার্থী দীপা কোলের অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা করে বাড়িতে আসার পরেই তৃণমূলের কর্মীরা গালিগালাজ করে ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। পরে মাঝরাতে ওরা ফিরে এসে দরজায় ধাক্কা দিয়ে স্বামীকে খুন করার হুমকি দেয়।” কোতুলপুরের তাজপুর এলাকার কংগ্রেস প্রার্থী তন্ময় কুণ্ডুর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র তুলে আনার পর থেকেই তৃণমূলের লোকেরা শাসানি দিচ্ছে। তবে ভয় না পেয়ে শুক্রবার আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এলাকার বুথ কমিটির সভাপতি শিবশঙ্কর বল্লভকেও ওরা হুমকি দিচ্ছে।” |
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করা-সহ কয়েক দফা দাবিতে শুক্রবার
বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরে আইন অমান্য করলেন বামফ্রন্ট কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র |
বিধায়কের মন্তব্য, “তৃণমূল যে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, তা ফের প্রমাণিত হল। খবর পেয়েই মহকুমাশাসককে এ দিন সকালে এসএমএস করে জানিয়েছি।” দীপা কোলে বলেন, “এত দিন সিপিএমের হুমকি ও সন্ত্রাসে বিরোধীরা ভোটে দাঁড়াতে পারতেন না। এই প্রথম ভোটে প্রার্থী হয়েছি। এ বার দেখছি তৃণমূলের লোকেরা সিপিএমের মতোই কাজ করছে!”
তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াইয়ের দাবি, “ওরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমাদের দলের কর্মীরা কাউকে ভোটে দাঁড়াতে বাধা দিচ্ছেন না।” এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) পরাগ ঘোষ বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাইনি। এসএমএসের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”
এ দিনই বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরে আইন অমান্য কর্মসূচির সভায় সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্র তোলার প্রথম দিন থেকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে তৃণমূলের সন্ত্রাসে সাহায্য করে যাচ্ছে। প্রশাসনের যে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানোর ইচ্ছে নেই, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।” বিষ্ণুপুর মহকুমার সন্ত্রাস কবলিত ব্লকগুলিতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলাশাসক বিজয় ভারতীর দাবি, “আমরা যে সব ক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়েছি, সেই সব ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করেছি। মনোনয়নপত্র তোলায় বাধা পাওয়ার অভিযোগ শুনলেই পুলিশ গিয়ে তাঁদের সাহায্য করছে।” পুলিশ প্রশাসনও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চায়নি। এ দিন পুরুলিয়াতেও এই কর্মসূচি হয়েছে। |