|
|
|
|
পশ্চিমের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই চার কর্মাধ্যক্ষের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলা পরিষদের নয় জন কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে চার জন কর্মাধ্যক্ষকে এ বার প্রার্থী করছে না সিপিএম। যাঁদের প্রার্থী করা হচ্ছে না তাঁরা হলেন, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ সূর্যেন্দু মহাপাত্র, বন ও ভূমি সংস্কার কর্মাধ্যক্ষ বিনয় মুখোপাধ্যায়, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ মধুসূদন রায় এবং মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ স্বদেশ মিদ্যা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য এ বারও প্রার্থী হচ্ছেন। প্রার্থী হচ্ছেন বাকি পাঁচ কর্মাধ্যক্ষও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শিশির মহাপাত্র, সমীর হাজরা, রতন দে, শান্তনু পাল, দীপক ঘোষ। শিশিরবাবু পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ। সমীরবাবু কৃষি ও সেচ, রতনবাবু ক্ষুদ্র শিল্প ও বিদ্যুৎ, শান্তনুবাবু শিশু ও নারী উন্নয়ন, দীপকবাবু খাদ্য ও সরবরাহ কর্মাধ্যক্ষ। জানা গিয়েছে, দলের স্থানীয় নেতৃত্ব প্রতিটি আসনের জন্যই একাধিক নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সেই তালিকা খতিয়ে দেখেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখও।
কিন্তু কেন এ বার চার কর্মাধ্যক্ষকে প্রার্থী করা হচ্ছে না?
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপকবাবুর সংক্ষিপ্ত জবাব, “দলের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে কিছু বলব না।” তবে ঘটনায় শোরগোল পড়েছে দলের অন্দরেই। তা হলে কী এঁদের কাজকর্মে দল খুশি নয়? দলীয় সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, কারও শরীর অসুস্থ। কেউ প্রার্থী হতে অনিচ্ছুক বলে আগেই দলের কাছে জানিয়েছেন। কারও আসন সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে, এ বার প্রার্থী হতে পারছেন না তাঁরা। তবে, রাজনৈতিক মহলে অবশ্য অন্যচর্চাই চলছে। জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ৬৭। এর মধ্যে ৬২টিতে প্রার্থী দেবে সিপিএম। এই আসনগুলোয় কে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের জেলা কার্যালয়ে এক বৈঠক হয়। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার-সহ দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠকেই ঠিক হয় চার কর্মাধ্যক্ষকে এ বার প্রার্থী করা হবে না।
জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হল। দল পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার মতো জায়গায় রয়েছে তো? জেলা সম্পাদকের বক্তব্য, “এটুকু বলতে পারি, আতঙ্ক শেষ কথা বলে না। মানুষের অভিজ্ঞতাই শেষ কথা বলে। নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলবে।” |
|
|
|
|
|