|
|
|
|
ধোঁয়াশায় পুলিশ-প্রশাসন |
নিরাপত্তার স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্বের তিন দিন কেটে গেল। এখনও নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই পুলিশ-প্রশাসনের। শুক্রবার, তৃতীয় দিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে কন্ট্রোল রুমের নম্বর দিচ্ছিল পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। কন্টোল রুম বলতে জেলা প্রশাসনের দু’টো ল্যান্ডলাইন নাম্বারকে বোঝানো হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আবার কোনও বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলাই হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তের বক্তব্য, “ব্লকে ব্লকে পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারেরা তো রয়েছেনই, তারপরেও কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁরা জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে জানাচ্ছেন। আপাতত ওটাই কন্ট্রোল রুম। তেমন হলে কন্ট্রোল রুম করা হবে।”
আসলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এ বার নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকাই পাঠায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নের জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তা পুলিশের নিজস্ব চিন্তাভাবনা অনুযায়ী। পুলিশ ডাইরেক্টরেট থেকে জেলায়-জেলায় যে নির্দেশিকা এসেছে, সেই মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “পুলিশ ডাইরেক্টরেটের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি।”
কী রয়েছে সেই ব্যবস্থায়? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক অফিসে অর্থাৎ যেখানে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছে সেখানে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাঢোকার মুখে, গেটের ভেতরে ও যেখানে মনোনয়ন জমা নেওয়া হচ্ছে সেখানে। কিন্তু ব্লক অফিসের বাইরে রাস্তায় আটকে দিলে কী হবে? প্রতিশ্রুতি মতো রাস্তায় টহলদারি জিপই বা কোথায় গেল? পুলিশের দাবি, ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ পেলেই পুলিশ পৌঁছে যাবে। যদিও বাস্তবে যে তা সম্ভব নয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন পুলিশের একাংশ। কারণ, জেলায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যা এতটাই অপ্রতুল যে বাইরের রাজ্য থেকে জেলায় নিরাপত্তারক্ষী পাঠালে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠালে তবেই তা সম্ভব বলে পুলিশ কর্তাদের অভিমত।
এই প্রেক্ষিতে বিরোধী কংগ্রেস ও বাম প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কোথাও মার খাচ্ছেন তো কোথাও তৃণমূলের জটলা দেখে ভয়ে ফিরে আসছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে বলেন, “কোথায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা? শুধু বিডিও অফিসে গুটিকয় পুলিশ। মনোনয়ন দেওয়ার সুস্থ পরিবেশই নেই। বিষয়টি কমিশনকে জানিয়েছি।” সিপিএমের জেলা কমিটির নেতা অশোক সাঁতরার অভিযোগ, “শাসক দল এতটাই সন্ত্রাস চালাচ্ছে যে আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না।” যদিও তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে। আমাদের কর্মীরা কাউকে কোথাও বাধা দেয়নি। বাধা দিলে অন্য রাজনৈতিক দল মনোনয়ন জমা দিচ্ছে কী করে?” |
|
|
|
|
|