|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
জলসঙ্কট |
সুরাহার পথে
কৌশিক ঘোষ |
প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে ছিল মুকুন্দপুরে পুরসভার ওভারহেড জলাধার তৈরির কাজ। মেয়রের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যা মিটল। তবে জমি অধিগ্রহণ করে জলাধার তৈরি শুরু হলেও জলকর বসানো নিয়ে বিতর্কে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ আপাতত সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে পুরসভা-সূত্রে। যদিও বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।
পুরসভা-সূত্রে জানা গিয়েছে, ধাপা জলপ্রকল্প থেকে প্রতি দিন ৩০ লক্ষ গ্যালন পানীয় জল উৎপন্ন করার কথা। এই জল বিভিন্ন বুস্টার এবং ওভারহেড জলাধারে তোলা হবে। সেখান থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ করা হবে। এই জলবণ্টন ব্যবস্থায় ১৭টি ওভারহেড জলাধারের পরিকল্পনা করা হয়। এ পর্যন্ত ১১টির কাজ শুরু হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আনন্দপুর, পাটুলি, মুকুন্দপুর, খেজুরতলা, শান্তিপল্লি, নারকেলবাগান এবং হাতিশুড়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টা জল
সরবরাহের ব্যবস্থা করতে গেলে বাড়ি বাড়ি মিটার বসাতে হবে। মিটার বসানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই ওভারহেড জলাধারগুলি থেকে এই মুহূর্তে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে এক আধিকারিক জানান। |
|
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জলের মিটার বসানো মানে পরোক্ষ ভাবে জলকর বসানোকে প্রশ্রয় দেওয়া। বর্তমান রাজ্য সরকার নাগরিকদের উপর করের বোঝা চাপাতে রাজি নয় বলেই জলকর বসানোর বিপক্ষে। তবে, কর না বসিয়ে কী ভাবে সব সময় জল সরবরাহ চালু করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতায় জল সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।”
পুরসভা-সূত্রে খবর, মুকুন্দপুরে যে জমিতে ওভারহেড জলাধার তৈরির কাজ চলছে সেটি ভূমি রাজস্ব দফতরের। রাজ্য সরকার পুরসভাকে জমি অধিগ্রহণের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও কাজ শুরু করা সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া, জমি অধিগ্রহণের সময় ওই জমিতে বসবাসকারী কিছু মানুষ আপত্তি জানান। ফলে, এই জমিতে ওভারহেড জলাধার প্রকল্পের কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ ছিল। |
|
কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বিভাস মাইতি বলেন, “জমিটি ভূমি সংস্কার দফতরের অধীনে থাকায় অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। জমির বাসিন্দারাও আপত্তি জানান। পরে মেয়র ও স্থানীয় বরো চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।” মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। আমি স্থানীয় বাসিন্দাদের এই ব্যাপারে বুঝিয়েছি। সরকারকেও জলপ্রকল্পের জন্য এই জমি আমাদের হস্তান্তর করতে অনুরোধ করি। এখন সেই কাজ চলছে।”
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|