দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
সুরাহা কবে
দুর্গম তথ্যতালুক
ক্ষিণ শহরতলির সোনারপুর, বারুইপুর এলাকা থেকে সল্টলেক বা সেক্টর ফাইভ পৌঁছনোর সরাসরি কোনও বাস চালু হল না আজও। অথচ ওই সব এলাকার বহু বাসিন্দাকে পেশাগত ও অন্যান্য কারণে নিয়মিত সল্টলেক এবং সেক্টর ফাইভে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যার কোনও সুরাহা না হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে রাজারহাট-নিউটাউন এবং সেক্টর ফাইভ থেকে উল্টোডাঙা, শিয়ালদহ, হাওড়া, এবং জোকা পর্যন্ত সরাসরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চালু হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় ঠাঁই হয়নি সোনারপুর এবং বারুইপুরের। ফলে এই দুই এলাকা থেকে যাঁরা নিয়মিত তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে যাতায়াত করেন তাঁরা কার্যত হতাশ।
সোনারপুরের বাসিন্দা আয়ন রায়ের কথায়: “সেক্টর ফাইভের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করি। রোজ অফিসে যাতায়াত করাটা রীতিমতো দুর্ভোগের বিষয়।’’ বারুইপুরের বাসিন্দা রহমত আলি বলেন, “আমাদের এখান থেকে অন্তত তিনটি বাস বদলে তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে পৌঁছতে হয়।” নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি অসুবিধে হয় বর্ষায় এবং শীতে। চড়া ট্যাক্সি ভাড়া দিয়ে তবে ফিরতে হয়। তাও অনেক সময় পাওয়া যায় না।
বারুইপুর এলাকা দিয়ে একটি বাস বারাসত, একটি হাওড়া আর একটি বাবুঘাট পর্যন্ত যায়। এই এলাকা দিয়ে যাঁরা নিয়মিত তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে যাতায়াত করেন তাঁদের অধিকাংশকেই বারাসত এবং হাওড়া রুটের বাসে ইএম বাইপাসে পৌঁছে তার পরে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছনোর জন্য বাস ধরতে হয়।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বিরোধী দলের সদস্য এবং প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সিপিআইয়ের তড়িৎ চক্রবর্তী বলেন, “এই সমস্যার সুরাহার জন্য আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার জন্য তা হয়ে ওঠেনি।” সোনারপুর উত্তর এবং দক্ষিণের দুই বিধায়ক তৃণমূলের ফিরদৌসি বেগম এবং জীবন মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা বলেছেন। দ্রুত সমাধানের জন্য ফের বলবেন।
বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই আমি এই সমস্যা নিয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা বলব।”
পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। আমরা এর মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের সঙ্গে কয়েকটি এলাকার সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। আরও কিছু এলাকা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।”

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.