পূর্ব কলকাতা
চ্যানেলের পাশে...
সারা দিন মশামাছি
দুর্গন্ধে জানলা খোলা দায়। চার পাশে মশামাছি ভনভন করছে। এর মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে বিধাননগরের কয়েকটি ওয়ার্ডের কিছু বাসিন্দাকে। অভিযোগ, একটি খোলা বড় নর্দমার কারণে এই অবস্থা। সেটি নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও সমাধান হয়নি। যদিও বিধাননগর পুরসভার আশ্বাস, পরিষ্কারের কাজ দ্রুত শুরু হবে। পাশাপাশি নর্দমার পাশে দখলদারি হঠাতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে বিধাননগর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর।
সল্টলেকের দত্তাবাদ এবং ডিএ, সিএ, বিএ, এএ ব্লকের মাঝ দিয়ে গিয়ে ওই খোলা নর্দমাটি কেষ্টপুর খালে মিশেছে। পোশাকি নাম গাটার চ্যানেল। এর মাধ্যমে ওই সব এলাকার বর্জ্য কেষ্টপুর খালে পড়ে। দত্তাবাদের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অনেক দিন আগে ওখানে ভেড়ি ছিল। পরে শুধু নর্দমাটি থেকে যায়। বাম আমলে চ্যানেলটির একাংশ বাঁধানো হলেও সর্বত্র সেই কাজ হয়নি।
পুরসভার বক্তব্য, মূলত দখলদারির জন্য পুরোটা বাঁধানোর কাজ হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধানো না হলেও চ্যানেলটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে এত সমস্যা হত না। যদিও পুরসভার বক্তব্য সর্বত্র সাফাইয়ের কাজে বড় বাধা দখলদারিই।
বিএ ব্লকের বাসিন্দা দীপঙ্কর পাত্র বলেন, ‘‘স্থানীয় কাউন্সিলর চেষ্টা করছেন। তবে কাজ দ্রুত হলে সমস্যা এতটা হত না।’’ দত্তাবাদের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, চ্যানেলটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে বর্ষায় এলাকা পরিষ্কার থাকত। কিন্তু সে ভাবে কাজ হচ্ছে না। গত বর্ষায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছিল। বহু মানুষ অসুস্থ হয়েছিলেন। চ্যানেলটি এই অবস্থায় থাকলে এ বারও সেই আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের স্নিগ্ধা মজুমদার বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের সমস্যা। আমরা পুরপ্রশাসনকে জানিয়েছি। চ্যানেলটি পরিষ্কার করা ও বেআইনি দখলদারি হঠানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।’’
বিধাননগরের মহকুমাশাসক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেআইনি দখলদারি সরানোর জন্য বিধাননগর পুরসভা আবেদন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইন মোতাবেক নোটিশ জারি করা হয়েছে।’’
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা করেনি। অভিযোগ অস্বীকার করে পুরপ্রশাসনের দাবি, দখলদারি হঠানোর সরকারি প্রক্রিয়ায় সময় লাগে। পাশাপাশি মানবিক দিকটিও দেখতে হয়। ফলে সব স্তরে আলোচনা করে ব্যবস্থা করতে হয়।
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘১৫ বছরের সমস্যা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

ছবি: শৌভিক দে




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.