কোচিং লাইসেন্স-হীন সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য, বিমল ঘোষরা এ বার থেকে কোনও দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে কি ম্যাচের সময় রিজার্ভ বেঞ্চে আর বসতে পারবেন?
ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান নেদারল্যান্ডসের রব বানের প্রস্তাব কার্যকর হলে কিন্তু সুভাষ-সুব্রতরা আর নিজেদের দলের ম্যাচের সময় মাঠের মধ্যে থাকতে পারবেন না। গ্যালারিতে বসেই কোচিং করাতে হবে তাঁদের। রব বান ইতিমধ্যেই এ নিয়ে ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁর যুক্তি, টিডি-রাই যদি সব করেন তা হলে পাস করা কোচেরা কী করবেন? তাঁদের কোচিং লাইসেন্সেরতা হলে কী হবে। শুধুই কি নিয়ম রক্ষা করতেই তাদের শিখণ্ডী খাড়া করে রাখা হবে মাঠে? আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “রব বান ওঁর ভাবনার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। ফেডারেশনের কর্মসমিতি যদি প্রস্তাব অনুমোদন করে, তা হলে সেটা কার্যকর করা হবে। পুরোটাই কোচিং কমিটির ব্যাপার। কর্মসমিতি চাইলে এ মরসুম থেকেই তা কার্যকর হবে।”
রব বানের প্রস্তাব শুনে তোপ দাগতে শুরু করেছেন আই লিগের দুই সফল কোচ সুভাষ ভৌমিক এবং সুব্রত ভট্টাচার্য। কোচিং লাইসেন্স ছাড়াই পাঁচ-পাঁচটা জাতীয় লিগ খেতাব এই দু’জনের পকেটে। সুভাষ এই মুহূর্তে বিদেশে। ফুকেট থেকে ফোনে তিনি বললেন, “আমরা সাফল্য পাওয়ায় সাহেবদের অসুবিধা হচ্ছে। সে জন্যই নানা নিয়ম কানুন চালু করতে চাইছে। রব বান বলুক, ও কী করেছে ভারতীয় ফুটবলের জন্য? কেন ফেডারেশন ওর চুক্তি বাড়াচ্ছে না?” সুভাষের চেয়েও চড়া সুর সুব্রতর গলায়। ময়দানে জোর গুঞ্জন করিম কোনও কারণে ছাঁটাই হলে ফের সুব্রত-প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জুটি ফিরতে পারেন মোহনবাগানে। সেই সুব্রত এ দিন বললেন, “লাইসেন্সওয়ালা কোচেরা যদি এতই শিক্ষিত হন, তা হলে আমি বা সুভাষ ভৌমিক আই লিগ জিতছি কী করে? গত তিন-চার বছরে ফেডারেশন যত নিয়ম চালু করেছে সব ব্যর্থ হয়েছে। এটাও হবে। কী আর করা যাবে? গ্রামে কোচিং করাব!”
আই লিগের জন্য যে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক সেই ‘এ’ লাইসেন্সের পরীক্ষা মুম্বইয়ে শেষ হল এ দিন। ২৪ জনের মধ্যে বাংলার তিন জন পরীক্ষা দিলেন। রব বানের সামনে যাঁরা পরীক্ষা দিলেন সাব্বির আলি, মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হেমন্ত ডোরা। |