টোলগে ওজবের মতো করিম বেঞ্চারিফাকেও কি ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ করে বিদায় দেবে মোহনবাগান?
আজ শনিবার মোহনবাগান কর্মসমিতির সভায় মোহন-কোচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ওডাফা ওকোলিকে নিয়েও চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই সভায়।
তীব্র আর্থিক সমস্যায় পড়ে যাওয়া বাগান করিমকে দেশে যাওয়ার আগেই তাঁর চুক্তির অর্ধেক টাকায় খেলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। সেটাই ‘পাস’ করিয়ে নেওয়া হবে সভায়। শুধু কোচকেই নয়, প্যাকেজ হিসাবে ওডাফাকেও চুক্তির চেয়ে অনেক কম টাকায় খেলার প্রস্তাব দেওয়া হতে চলেছে। প্যাকেজ মানে ফ্ল্যাট ভাড়া, গাড়ি, ড্রাইভার, বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ-সবকিছু। ক্লাব সূত্রের খবর, চুক্তিবদ্ধ ওডাফা দরাদরি করে কিছু কম-বেশি টাকায় খেলতে রাজি হয়ে যাবেন। কারণ তিনি যে টাকা পাচ্ছেন তা দেওয়ার মতো ক্লাব এখন ভারতেই নেই। করিম কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাগানের প্রস্তাবে রাজি হননি। মরক্কো থেকেই ফ্রাঞ্চাইজি টিম-সহ সব ক্লাবে ফোন করছেন তিনি। কিন্তু কেউই কোচের জন্য দেড় কোটি টাকা খরচ করতে নারাজ। |
টোলগের মতো করিমকে অবশ্য ছাঁটতে চান না কর্তারা। কারণ তাঁর দেওয়া তালিকা মেনেই টিম তৈরি হচ্ছে। সে জন্যই শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট ধরে ধরে ‘বোনাসের’ প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে কোচকে। যেমন কলকাতা লিগ জিতলে এত টাকা, আই লিগ জিতলে এত টাকা...এরকম। মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “দল তৈরি নিয়ে কর্মসমিতি যা বলবে তাই হবে। ক্লাবের আর্থিক অবস্থা খারাপ। গত বারের অর্ধেক টাকায় দল গড়তে হচ্ছে। সে জন্য কোচ-ফুটবলারদের টাকা কমাতেই হবে। দেখি সবাই কী বলে।”
জানা গিয়েছে, ইউ বি-র দেওয়া নয় কোটি টাকায় এ বার দল গড়তে হচ্ছে মোহনবাগানকে। সে জন্য কর্মসমিতির সদস্যদের কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সবাই মিলে কত টাকা দেন তার উপরই ঠিক হবে এ বারের দলগঠনের বাজেট। গত চার বছরের মতো এ বারও ব্যর্থ হলে তার দায় যাতে শীর্ষ কর্তাদের ঘাড়ে না পড়ে সে জন্যই কর্মসমিতিকে নজিরবিহীনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এ বার। মোহন সচিব বললেন, “কেউ একা নয় এ বার আমরা সবাই মিলে দল গড়ব।”
শুধু করিম-ওডাফাই নয়, নির্মল ছেত্রী-স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ কুড়ি লাখ টাকার বেশি যাদের সঙ্গে চুক্তি তাদের সবার কথাই কর্মসমিতির সভায় আলোচনা হবে। ক্লাব সূত্রের খবর, প্রত্যেক ফুটবলারেরই চুক্তির চেয়ে চল্লিশ শতাংশ টাকা কমবে। |