স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন স্বামী। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। শেষমেশ স্ত্রীকে কুড়ুলের কোপ মেরে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনির মোল্লারদের কলোনিতে। নিহতের নাম সীমা কীর্তনিয়া (৩৪)। স্বামী অসিতবরণের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর কলহ চলছিল। অসিতবরণ ডানকুনির একটি বিস্কুট কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি আগাম অবসর নেন। তারপরপ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল আরও বাড়তে থাকে বলে তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
শুক্রবার সকালে সেই বিবাদ চরমে ওঠে। যদিও পরিবারের সকলে এক সঙ্গে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারেন। বড়মেয়ে রিয়া মাধ্যমিকে পাশ করেছে। সে ভর্তির ফর্ম আনতে বেরিয়ে যায়। বছর পাঁচেকের ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়েন কীর্তনিয়া দম্পতি। অভিযোগ, হঠাৎই অসিতবাবু ঘুম থেকে উঠে কুড়ুল নিয়ে স্ত্রীর মাথায় কোপ মারেন। সীমাদেবী রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আর্তনাদ শুরু করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে জেনেছে, ছেলেকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন অসিতবাবু। কিন্তু মায়ের অবস্থা দেখে ছেলে চিৎকার জুড়ে দেয়। তখন ছেলেকে রেখেই পালিয়ে যান অসিতবাবু। ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। রক্তাক্ত অবস্থায় সীমাদেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে কুড়ুলটি। পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে সন্দেহের বশেই খুন করেছেন অসিত। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য। রাতের দিকে ডানকুনির ওসি পার্থসারথি পালের নেতৃত্বে একটি দল দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে অসিতবরণকে গ্রেফতার করে। |