|
|
|
|
মাফ চেয়ে মিটল সীমান্তের বিবাদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
মাফ চেয়েই নিষ্পত্তি ঘটল আন্তর্জাতিক সীমান্ত-সংলগ্ন দু’দেশের মানুষের বিবাদের। মঙ্গলবার থেকে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল ১৩৪১ নং পিলারের উভয় দিকে।
অভিযোগ, সে রাতে কাছাড় জেলার নাতানপুরে ঢুকে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা চার ভারতীয়কে জখম করে। এ নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা আজ ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসেন। শেষ পর্যন্ত উভয় দিকের গ্রামবাসীদের ডেকে আনলে ওপারের লোকজন মারধরের জন্য ভারতীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
নাতানপুরের মানুষের অভিযোগ, এ শুধু এক দিনের ঘটনা নয়। প্রায়ই বাংলাদেশিরা দিনদুপুরে সীমান্ত পেরিয়ে এসে হাঁস-মুরগি নিয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে চুরির ঘটনা আকছার ঘটছে। কিন্তু ৫২ পরিবারের এই গ্রামটি কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে বলে ভারতীয়দের চুপচাপ দিন কাটানো ছাড়া অন্য কোনও উপায়ও নেই। কারণ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে গেট খুলে দেয় বিএসএফ। বাকি সময় তাঁরা কার্যত দেশছাড়া।
গ্রামবাসীরা জানান, সে দিন চুরির চেষ্ট্য ব্যর্থ হওয়াতেই ঘটনা মারপিট পর্যন্ত গড়ায়। বিকেলে বাংলাদেশিদের একটি দল নাতানপুরে এসে হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা আপত্তি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে লাঠিসোটা, দা-বল্লম নিয়ে এসে মোষ নিয়ে যেতে চায়। ভারতীয়রা বাধা দিলে শুরু হয় আক্রমণ। এতে নাতানপুরের চার জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে রাজিয়া বেগম নামে ৪০ বছরের এক মহিলা এখনও জালালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কাছাড় জেলার কাটিগড়ার সার্কল অফিসার খালেদা সুলতানা আহমদ জানিয়েছেন, কাঁটাতারের বাইরের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের প্রয়াস চলছে। জমির বন্দোবস্ত করে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই শুরু হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
করিমগঞ্জ জেলায় বেশ কিছু খাস জমি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করে সেখানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের জীবিকার বিকল্প নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। |
|
|
|
|
|