|
|
|
|
হাজারিবাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় এমএ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
আট বছর লড়াই করার পর জয় এল। বৃহস্পতিবার হাজারিবাগের বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বাংলাকে নথিভুক্ত করতে সম্মত হলেন। এই ঘটনাকে প্রবাসে বঙ্গবাসীদের বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছেন ঝাড়খণ্ডের বাঙালিরা। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বাংলা ভাষাকেও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নথিভুক্ত করার জন্য ২০০৫ সাল থেকেই দাবি তুলেছিলেন এখানকার বাঙালি সমাজ। একই দাবি উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলা কলেজগুলির বাঙালি অধ্যাপকদের মধ্যে থেকেও।
কিন্তু আইনের প্যাঁচ, পরিকাঠামোর অভাব—এ হেন নানা কারণ
দেখিয়ে এতদিন পর্যন্ত বাংলাকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যুক্ত করা হচ্ছিল না বলে এতদিন অভিযোগ করে আসছিলেন এখানকার বাঙালিরা। একই অভিযোগ ছিল বাঙালি অধ্যাপকদেরও। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলিতে অবশ্য স্নাতক পর্যায়ে বাংলা পড়ানো হত।
গত বছরই বাংলা বিভাগ থেকে ৮১ জন ছাত্রছাত্রী অনার্স নিয়ে পাশ করার পরে এম এ করার সুযোগ না থাকায় আর বাংলায় লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে যাঁরা এখনও অন্য কোথাও ভর্তি হতে পারেননি, আগামী শিক্ষাবর্ষে তাঁদের এমএ কোর্সে ভর্তি করানো যায় কিনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি উপাচার্য অঞ্জনিকুমার শ্রীবাস্তব আজ জানান, বৃহস্পতিবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “যত শীঘ্র সম্ভব বাংলা পড়ানো চালু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই যাতে ছাত্রছাত্রীরা বাংলায় এমএ করার জন্য ভর্তি হতে পারেন তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ধানবাদ, গিরিডি, নিরশা, বোকারো-এই সব জায়গাগুলিতে বাংলা পড়ার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ফলে ধানবাদের নিরশাতে পি কে রায় মেমোরিয়াল কলেজে প্রাথমিকভাবে বাংলায় মাস্টার ডিগ্রি পড়ানো শুরু হবে। তারপরে চালু করা হবে হাজারিবাগের কলেজগুলিতেও।
ঝাড়খণ্ড বাঙালি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “এটা আমাদের নৈতিক জয়। এমএ করার সুযোগ না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা বাংলা পড়ার প্রতি আকর্ষণ হারাতে শুরু করেছিলেন। এটা তো প্রবাসী বাঙালিদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। আমরা খুশি হয়েছি যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত আমাদের সমস্যাটা বুঝেছেন।” |
|
|
|
|
|