|
|
|
|
ডিমা হাসাও পরিষদ |
কংগ্রেসের সদস্য হতে চেয়ে আর্জি প্রাক্তন জঙ্গিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
প্রচারে কংগ্রেসকেই তাঁরা প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। অধিকাংশই জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাস্ত করেই। কিন্তু উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পরিষদে ক্ষমতা বদল হচ্ছে না, কংগ্রেসই থাকছে তা বুঝতে পেরেই বিরোধী, প্রাক্তন জঙ্গিরা এখন কংগ্রেসের সদস্যপদ চাইছেন।
তিন গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে ভোটে লড়েছিলেন তাঁরা। এখন সবাই এক স্রোতে মেশার অপেক্ষায়। জুয়েল-নিরঞ্জন যেমন কংগ্রেসের সদস্যপদ চেয়েছেন, তেমনই কংগ্রেসের সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করেছেন দিলীপ নুনিসার শিবিরের নির্বাচিত সদস্যরাও। একা দুই আসনে জেতা ড্যানিয়েল অবশ্য আগেই পরিষদ গঠনে কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দলে অন্তর্ভুক্তির রাস্তা সহজ করে রেখেছেন।
এখানেই শেষ নয়। ডিমাসা জঙ্গিদের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে বছর চারেক আগে গঠিত হয়েছিল ইন্ডিজেনাস পিপলস পার্টি। তারাও এ বার পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারটি আসনে বিজয়ী হয়। এঁদেরও একজন কংগ্রেসের সদস্যপদ চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন বলে জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বিষয়টি জেলার এক্তিয়ারে নেই বলে সব ক’টি আবেদনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চরম বিরোধিতার ক’দিনের মধ্যেই প্রাক্তন জঙ্গিরা কেন কংগ্রেসে ঢুকতে চাইছেন?
এ প্রশ্নে এখনই কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে শাসক দলের সঙ্গে না থাকলে নিজের নিজের এলাকার উন্নয়ন যে সম্ভব নয়, ফলাফল বের হওয়ার পর এই ধারণা সকলের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় ডিমাসা মাদার্স অ্যাসোশিয়েশন। তাঁরাই তিন শিবিরের নির্বাচিত সদস্যদের বৈঠকে ডেকে জেলার উন্নয়নে গোষ্ঠী-বিবাদ ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানান। শেষে সব গোষ্ঠী কংগ্রেসের সদস্যপদের জন্য আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুমান করা হচ্ছে, ২৮ আসনে পরিষদে ১০টি আসনে জিতে কংগ্রেস একক বৃহত্তম হলেও প্রথম অধিবেশন বসার আগেই পরিষদ বিরোধী-শূন্য চেহারা নেবে। এ বারও ২০০৮-এরই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। সে বারের নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র তিনটি আসনে জিতেছিল। কিন্তু শেষার্ধে তারাই ক্ষমতা দখল করে এবং বিরোধী-শূন্য অবস্থায় মেয়াদ পূর্ণ করে। |
|
|
|
|
|